”সাধারণ মানুষ মমতা নামক করোনা থেকে বাঁচতে চাইছে” বিস্ফোরক প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কলকাতা রাজ্য June 4, 2020 রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে হাতে সময় আর এক বছর। অন্যদিকে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন বেসামাল হয়ে উঠছে। আর এর মধ্যেই রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি রীতিমতন কোমর বেঁধে বিভিন্ন পরিকল্পনাকে সাথে নিয়ে আগামীর জন্য লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য বিজেপি দল বাংলা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে সম্প্রতি তাঁদের রাজ্য কমিটির খোলনলচে বদলে নতুন করে তৈরি করেছে। আর সেখানেই উল্লেখযোগ্যভাবে রাজ্য বিজেপির যুব কমিটির দায়িত্বে এসেছেন একসময়ের তৃণমূলের ঘরের ছেলে সৌমিত্র খাঁ। মনে করা হচ্ছে, বিজেপি এমন সময় সৌমিত্র খাঁ কে দায়িত্ব দিল যখন দলের সামনে উপস্থিত হতে চলেছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এদিন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা থেকে দিলীপ ঘোষ প্রত্যেককেই ধন্যবাদ জানান এই গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাঁকে। অন্যদিকে, একসময় তৃণমূলের সংসদ সৌমিত্র খাঁ বর্তমানে বিজেপিতে পা দিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এদিন বলেন, বর্তমানে বিশ্বে মারণ ভাইরাস করোনা সবথেকে ক্ষতিকারক কিন্তু তার থেকেও ক্ষতিকারক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ জানান, শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিজেপির 100 জনের ওপর কর্মী সমর্থককে রাজনৈতিক হত্যা করা হয়। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলছে বলে তিনি দাবি করেন। এদিন সৌমিত্র খাঁ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, রাজ্যকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করার পেছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। রাজ্যের মানুষের কাছে মাস্ক কেনার মতনও পয়সা নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই এবার গেরুয়া দল থেকে জায়গায় জায়গায় শিবির করে মাস্ক বিলি করা হবে বলে জানান প্রাক্তন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক। অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন সৌমিত্র খাঁ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, রাজ্যে লকডাউন প্রথম ভেঙেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্যের তিনি উল্লেখ করেন। যার মধ্যে মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রীর করা একটি মন্তব্য ছিল, কোন একটি আন্দোলনকে ঘোরানোর জন্য করোনার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। দলবদল এর ব্যাপারে সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, বর্তমানে তৃণমূল থেকে অন্তত 70 জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এছাড়াও সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির যুব সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে সৌমিত্র খাঁ মুখ খুলেছেন, তাতে ভবিষ্যতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যথেষ্ট বিপাকে পড়তে পারেন। আপাতত নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এর ওপর যে বিজেপির অনেক কর্তাব্যক্তিদের নজর রয়েছে তা তাঁর ওপর দেওয়া দায়িত্ব থেকেই পরিষ্কার। অন্যদিকে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সৌমিত্র খাঁ ও তাঁর দায়িত্ব পালনে উঠে পড়ে লেগেছেন। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যে তৃণমূলের কাছে আক্ষরিক অর্থেই একটি চ্যালেঞ্জের শামিল হবে, বর্তমানে বিজেপি সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আপনার মতামত জানান -