নেতা-মন্ত্রীরা ফোন করলেও আর রেহাই নয়, ক্রমশ কড়া হচ্ছে শাসকদল উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 24, 2018 জনসচেতনতা বাড়াতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে ‘সেফ ড্রাইফ সেভ লাইফ’ কর্মসূচী। কিন্তু শাসকদলের নেতা-কর্মীরাই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন। হেলমেট না পড়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মোটরবাইকে। এসব আটকাতে গেলে পুলিশকেই উল্টে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন নেতারা। কখনও আইনভঙ্গকারীদের ছাড়াতে চলে আসছে নেতার ফোন। এবার সেই নেতা-কর্মীদের আইন মানতে বাধ্য করাতে চাইছে প্রশাসন। নেতা-মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আটকে নিরাপত্তা বিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিন কোচবিহারের ল্যান্স ডাউন হলে নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের অঙ্গ হিসাবে একটি মোটর বাইক র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। র্যালির সূচনা করতে এসে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “নেতা মন্ত্রী ফোন করলেও ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের ছাড়া যাবে না। আমিও এধরনের ফোন কোনোওদিন পুলিশকে করি না। হেলমেট না পড়লে কড়া ব্যাবস্থা নিতে হবে। আইন সকলের ক্ষেত্রে সমান।” মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আশাবাদী অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার থেকে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পুলিশ প্রশাসনের একাংশ হেলমেট না পড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত প্রত্যেকেই ট্রাফিক আইন মেনে চলার পক্ষে শপথ নেন। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “জেলাজুড়ে পথ নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক প্রচার করা হবে।” অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে বলেন, “মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে অভিযান হবে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে ট্রাফিক ক্লাব তৈরির চিন্তাভাবনাও হচ্ছে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনভঙ্গকারীদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য শাসকদলের নেতা-কর্মীদের শাসানি সহ্য করতে হত পুলিশ কর্মীদের। এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর আশ্বাসে আইনরক্ষকেরা প্রকৃত অর্থেই আইন বাঁচাতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে। আপনার মতামত জানান -