এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শহীদ সম্মান যাত্রা শুরুর পূর্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ ও অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

শহীদ সম্মান যাত্রা শুরুর পূর্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ ও অভিযোগ দিলীপ ঘোষের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শহীদ সম্মান যাত্রা শুরুর পূর্বে এক সাংবাদিক বৈঠকে যোগদান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে একের পর এক কটাক্ষ করলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা শহীদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচি পালন করতে চলেছেন। যা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে। ১৫০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মী রাজনৈতিক শিকার হয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা হত্যা করেছে বিজেপি কর্মীদের।

তিনি জানালেন, তাঁদের পরিবারের খোঁজ নেওয়া ও তাঁদের সাথে মিলিত হবার জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তাঁরা। তিনি জানালেন, আজ বিজেপির পার্টি অফিসে ঢোকার সময় তিনি দেখেছেন যে, লালবাজারের সমস্ত পুলিশ পার্টি অফিসের সামনে চলে এসেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, দলের অফিসে ঢোকার কি কোন অধিকার তাঁদের নেই? তিনি বুঝতে পারছেন না, এসব কেন করা হচ্ছে? তিনি জানালেন, তিনি শুনতে পেয়েছেন যে, পুলিশ তাঁদের যাত্রা করতে দেবেন না। তিনি জানেন না এই কর্মসূচির মধ্যে কি অন্যায় আছে? কোনো মিছিল করা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কি অসুবিধা? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তৃণমূলের দুজন মহিলা সাংসদকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, কিছুদিন ধরেই ত্রিপুরাতে নাটক চলছে। বাংলার মন্ত্রীদের ত্রিপুরাতে স্বাগত জানানো হয়েছিল। তাঁদের সন্মান ও মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকার সমস্ত রকম দায়িত্ব পালন করেছিল। এরপর অভিযোগ করা হয়েছে যে, গণতন্ত্র নেই। এই সমস্ত কিছু নাটক বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও জানালেন যে, গতকাল শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। কিন্তু এরপরও পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাঁদের ৩ থেকে ৭৭ এ নিয়ে গেছেন। কিন্তু তাও বুঝতে পারছে না রাজ্য সরকার। ক্ষমতার অহংকার দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। এই সরকার ও সংসদকেও অপমান করে বলে, অভিযোগ করলেন তিনি।

আবার আজ শহীদ সম্মান যাত্রা শুরুর পূর্বেই শিলিগুড়িতে বিজেপির যুব কর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, গণতন্ত্রের হাড়-পাঁজর বেরিয়ে পড়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, কিসের ভয়ে এটা করা হচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক, ১৮ জন সাংসদ রয়েছেন। মানুষ তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু এই রাজ্য সরকার তা মানতে চাইছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র রক্ষা করার চেষ্টা দুঃখজনক ও নিন্দা জনক ব্যাপার। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সংসদ অচল করে দিচ্ছে তৃণমূল। এর জবাব দেবেন মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!