এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কেন্দ্রের নতুন ঘোষণায় বেতন বাড়ার বদলে লাগতে চলেছে বড়সড় ধাক্কা? বড়সড় জল্পনা কর্মচারী মহলে

কেন্দ্রের নতুন ঘোষণায় বেতন বাড়ার বদলে লাগতে চলেছে বড়সড় ধাক্কা? বড়সড় জল্পনা কর্মচারী মহলে


করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে ভারতবর্ষ জুড়ে। তবে টানা এই লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কেউ জানেন না। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার একগুচ্ছ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে ইপিএফ সদস্যদের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলে সেই ঘোষণায় উঠে আসে।

আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা শেষ হতে না হতেই এবার ট্রেড ইউনিয়নের তরফে একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করল। যেখানে এই ট্রেড ইউনিয়নের অভিযোগ, আগামী তিন মাসে পিএফ খাতে কর্মী এবং নিয়োগকারীর জমা 12 শতাংশ থেকে কমিয়ে 10 শতাংশ করা হয়েছে। আর এর ফলে কর্মীদের আয় দুই শতাংশ কমবে। অন্যদিকে কর্মীদের হাতে নগদের যোগান বাড়াতে আয়কর খাতে তাদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনা প্রকল্পে বলা হয়েছিল, যে সমস্ত সংস্থায় খুব বেশি হলে 100 জন কর্মী কাজ করেন এবং তাদের মধ্যে 90% কর্মীর বেতন 15000 টাকার মধ্যে, সেখানে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত নিয়োগকারী এবং কর্মীদের পি এফ খাতে দেয়, এমন টাকা পুরোটাই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় আগস্ট পর্যন্ত তা বাড়ানোর কথা শোনা যায়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে পিএফ কর্মীদের মূল বেতনের 12% টাকা জমা করার কথাও বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই একাংশ বলছেন যে, পিএফ খাতে নিয়োগকারীরা যে অর্থ দিচ্ছেন, তা আসলে কর্মীদের বেতনেরই একটি অংশ। ফলে সেখান থেকে 2% টাকা কমার অর্থ আসলে মাসিক আয় 2% ছাঁটাই করা। ফলে সেদিক থেকে কর্মীদের অনেকটাই লোকসান সহ্য করতে হবে। কিন্তু এই লোকসান সমাধান করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় তেমন কোনো আশাব্যঞ্জক কথা শুনতে পাওয়া যায়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।

এদিন এই প্রসঙ্গে এআইইউটিইউসির সভাপতি তথা পিএফের অছি পরিষদের প্রাক্তন সদস্য শংকর সাহা বলেন, “আর্থিক সাহায্য দেওয়ার নামে বাহবা কুড়াতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু আসলে এতে করে মালিকদের সুবিধা হবে। আর আর্থিক দায় বহন করতে হবে কয়েক কোটি সাধারণ মানুষকে।” তবে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সরব হওয়া হলেও, তা নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রস্তাবের একমাত্র উদ্দেশ্য হল পিএফের আওতায় থাকা কর্মী এবং নিয়োগকারীদের হাতে বাড়তি নগদের ব্যবস্থা করে দেওয়া। তবে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য কেন্দ্রের এই ঘোষনার পরে যেভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সোচ্চার হওয়ার ঘটনা ঘটছে, তাতে কর্মী মহলেও তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!