এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সালিশিসভায় দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার প্রবল মারপিট! একজনের মাথা ফাটল, অপরের বাড়ি ভাঙল!

সালিশিসভায় দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার প্রবল মারপিট! একজনের মাথা ফাটল, অপরের বাড়ি ভাঙল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন, কিন্তু অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময় বির্তকের সৃষ্টি করে চলেছে। এবার ব্যক্তিগত কারণে একে অন্যের ওপর হামলা চালালো দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানা সোনাকানিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়। এদিন একটি সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল এলাকায়, যেখানে দুই নেতার মধ্যে শুরু হয়ে যায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর মারামারি।

একজনের মাথা ফাটে তো অন্যজন এলাকাজুড়ে বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করে। ইতিমধ্যেই থানায় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ দুটি মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে। হাবড়ার দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা ইসরাফিল মোল্লা। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সাথে তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে ফিরোজ মোল্লার বিবাদ চলছিল। বেশ কয়েকবার আত্মীয়-স্বজনদের সামনে আলোচনায় বসলেও এই বিবাদ মেটেনি। তাই বৃহস্পতিবার রাতে বিবাদ মেটানোর জন্য একটি সালিশি সভা ডাকা হয়।

সেখানে কুমড়া পঞ্চায়েতের 2 তৃণমূল সদস্য মনোয়ারা বিবি এবং রফিকুল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সভায় কিছু ব্যক্তিগত কথা বলে তিনি ফিরোজকে শারীরিক ভাবে আক্রমণ করেন। ফিরোজও পাল্টা লাঠি চালিয়ে রফিকুলের মাথা ফাটিয়ে দেন বলে জানা গেছে। রফিকুলের মাথায় সেলাই পড়েছে বলেও খবর। অন্যদিকে গন্ডগোল শুরু হওয়ায় যথারীতি সালিশি সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। এদিকে পঞ্চায়েত সদস্যের মাথা ফাটানোর পরেই এলাকায় তাঁর অনুগামীরা তাণ্ডব শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফিরোজের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের বাড়ি তছনছ করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁদের আসবাবপত্র, ব্যবহৃত জিনিস। ফিরোজের আত্মীয় শফিকুল জানিয়েছেন, রফিকুলের অনুগামীরা হামলা করছে দেখে তালা দিয়ে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে এসে দেখেন তালা ভেঙে ঘরের সব জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিরোজ জানিয়েছেন, সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্য রফিকুল ইসলাম মদ্যপ অবস্থায় এসেছিলেন। যে কারণে সভা ডাকা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে কথা না বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তিনি ফিরোজকে এবং মারধর করেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ছিলেন তাই এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোন যোগ নেই। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে আঘাত পেতে দেখে হয়তো স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষেপে গিয়ে একাজ করেছেন। আপাতত পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমে তল্লাশি চালাচ্ছে অভিযুক্তদের খোঁজে। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য।

তৃণমূলের অন্দরে যে ভাবে দিনের পর দিন একে অপরের প্রতি প্রতিহিংসা সামনে আসছে, তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত শাসক দল। এদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, অচিরেই যদি শাসক দল এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই দলের সংগঠনে এর প্রভাব পড়বে এবং অবধারিতভাবে তার ফল দেখা যাবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে। আপাতত হাবড়া থানার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর এখন।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!