এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার সমবায় ব্যাংকের চাকরিতেও হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নামে স্বজনপোষণের বিস্ফোরক অভিযোগ

এবার সমবায় ব্যাংকের চাকরিতেও হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নামে স্বজনপোষণের বিস্ফোরক অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নানা নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিরোধীদের কাছে প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাকরিতে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া, বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। আর এবার সমবায় ব্যাংকে কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠতে শুরু করল।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে কর্মী নিয়োগ হয়েছে। যেখানে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের কারও বাবা তৃণমূল বিধায়ক, আবার কারও মা তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর। ফলে প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের এই চাকরি থেকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের এখানে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।

বস্তুত, সম্প্রতি এই ব্যাংকের 29 টি পদে কর্মী নিয়োগ হয়েছে। যেখানে মৌমিতা ঘোষ বলে একজন চাকরি পেয়েছেন। যিনি নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষের মেয়ে। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ মন্ডল নামে এক চাকরি পাওয়া ব্যক্তি মেদিনীপুরের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিপ্রা মন্ডলের ছেলে বলে অভিযোগ।

এছাড়াও তৃণমূল সভাপতি শক্তিপদ দাস অধিকারীর মেয়ে নবনীতা দাস অধিকারীও এখানে চাকরি পেয়েছেন। ফলে গোটা ব্যাপারটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হতে শুরু করেছে‌। সত্যিই তো তাই! যেখানে সর্বত্র বেকার বাড়ছে, সেখানে কেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ছেলেমেয়েরা এইভাবে চাকরি পাবেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “তৃণমূলের ঝাণ্ডাধারীরা ব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন। প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সুমিত অধিকারী বলেন, “তৃণমূল আমলে তো এটাই হচ্ছে। মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই হিসেবে এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বলতে পারেন এটাই রীতি।” একই কথা বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক। কিন্তু কেন এমনটা হল? কেন এইভাবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিকটাত্মীয়রা চাকরি পেলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যুৎবাবু বলেন, “আমার মেয়ে যোগ্যতার নিরিখেই চাকরি পেয়েছে।” অন্যদিকে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর শিপ্রা মন্ডল বলেন, “আমার ছেলে তো আপার প্রাইমারিতেও 84 শতাংশ নম্বর পেয়েছিল।” একধাপ উপরে উঠে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি শক্তিপদ দাস অধিকারী বলেন, “আমি তৃণমূল করি বলে কি আমার মেয়ে চাকরি পেতে পারে না! যারা চাকরি পেয়েছেন, তারা তো কারও না কারও ছেলে মেয়ে।”

এদিকে যে সমস্ত অভিযোগ এই নিয়োগ নিয়ে করা হচ্ছে, তার সমস্ত কিছুই মিথ্যা এবং কোনো অনিয়ম হয়নি বলে জানিয়ে দিয়েছেন এই সমবায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে যে কথাই বলা হোক না কেন, বিরোধীরা যে এই ব্যাপারে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ময়দানে নামবে এবং তার ফলে যে তৃণমূলের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দুর্নীতির অভিযোগ তোলা বিরোধীদের বক্তব্যকে খন্ডন করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি যুক্তি খাড়া করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!