এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > সামান্য ‘ট্যাবলেট’ পাচার করেই বছরে কোটিপতি! বাংলায় নতুন ট্রেন্ডে ঘুম উড়ছে পুলিশ-প্রশাসনের!

সামান্য ‘ট্যাবলেট’ পাচার করেই বছরে কোটিপতি! বাংলায় নতুন ট্রেন্ডে ঘুম উড়ছে পুলিশ-প্রশাসনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট গরু পাচার, অস্ত্র পাচারের পাশাপাশি এবার উঠে আসছে ট্যাবলেট পাচারের কথা। যে সে ট্যাবলেট নয়, এই ট্যাবলেট নেশার দ্রব্য হিসেবে পাচার করা হয়। এবং এই নেশার দ্রব্য বা ট্যাবলেট পাচার করে সামশেরগঞ্জের কয়েকজন যুবক রাতারাতি ভোল বদল করে ফেলেছে। আর তাতেই পুলিশের সন্দেহ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এই ট্যাবলেট পাচারে যেহেতু ঝুঁকি অনেক কম এবং লাভ অত্যাধিক বেশি তাই সামশেরগঞ্জের বহু যুবক এই পেশায় নেমেছে। অনেকেই রাতারাতি ঝাঁ-চকচকে বাড়ি বানিয়ে ফেলছে, আবার অনেকে ট্রাকের মালিক কিংবা কারখানার মালিক হয়ে যাচ্ছে।

আর এসবের মূলে রয়েছে ইয়াবা নামের একটি ট্যাবলেট। শনিবার কলকাতার স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে দুজন ধরা পড়েছে। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। ওই দুই যুবকের একজনের বাড়ি ফতেপুর গ্রামে, এবং অন্যজনের বাড়ি খাপুর গ্রামে। দুজনেই গ্রামে খুব কম সময়ের মধ্যে বিশাল টাকার মালিক হয়ে যায় বলে জানা গেছে। অথচ বছরখানেক আগেও তাঁদের অবস্থা পড়তির দিকে ছিল।

এই কারবার কিভাবে চলে তা জানতে গিয়ে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে উল্লেখযোগ্য তথ্য। মূলত মণিপুর থেকে এই ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারকারীরা নিয়ে আসে। সেখানে প্রতি পিস ইয়াবা ট্যাবলেট 20 থেকে 25 টাকায় বিক্রি হয়। তবে এই ইয়াবা ট্যাবলেট একটি লাল এবং অন্যটি নীল রঙের। দু ধরনের ট্যাবলেট কেনা হয় একই দামে, অথচ যখন বিক্রি করা হয় তখন এই দুই ট্যাবলেটের আলাদা আলাদা দাম হয় এবং সেগুলি লুকিয়ে নিয়ে আসা হয় মুর্শিদাবাদে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপর 5 থেকে 10 গুণ দামে বাংলাদেশ এগুলি বিক্রি হয়। ইদানীংকালে বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধিক কড়াকড়ি রয়েছে। আর সে কারণেই অনেক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে। অন্যদিকে ট্যাবলেট পাচারকারীরা ধরা পড়ার ভয়ে মুহুর্মুহু মোবাইলের সিম কার্ড বদলে ফেলে বলে জানা গেছে। এই ট্যাবলেট এর বিশেষত্ব হলো, যেহেতু ট্যাবলেট এর আকার অত্যন্ত ছোট, তাই সহজেই ব্যাগে করে বা স্কুল ব্যাগে করে ভরে নিয়ে চলে যাওয়া যায়।

এমনকি ঘাসের বস্তায় ঢুকিয়েও এই ট্যাবলেট পাচার করে দেওয়া হয়। কেউ সন্দেহ করে না। আর একবার ট্যাবলেট যদি বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে যায়, তাহলে হাতে আসবে কোটি কোটি টাকা। আর সেই কারণেই ইদানীংকালে পাচারকারীরা মন দিয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেটের দিকে। সম্প্রতি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ছাড়াও জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ এবং বিএসএফের হাতেও প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট আটক হয়। আর তারপরেই শুরু হয় জোরদার নজরদারি। এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, এই ট্যাবলেটটি যেহেতু একদম সাধারণের মতো দেখতে তাই চট করে দেখলেও কারোর সন্দেহ হবেনা। যার সুযোগ খুব ভালোভাবেই নেয় পাচারকারীরা। এদিকে গরু পাচার, অস্ত্র পাচারের ঝুঁকি থাকে অনেক। ধরা পড়লে গুলিও খেতে হয়। সেদিক থেকে নেশার ট্যাবলেট পাচার করা অনেক সহজ। উপরন্তু এতে ঝুঁকিও থাকে অনেক কম। তবে এবার জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে, আর এর ফলে ট্যাবলেট পাচারকারীদের এবার যে বড়োসড়ো বাধার মুখে পড়তে হতে চলেছে সে নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!