এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সমর্থন না বিরোধিতা? বিধান পরিষদ নিয়ে কোন পথে হাঁটবে বিজেপি

সমর্থন না বিরোধিতা? বিধান পরিষদ নিয়ে কোন পথে হাঁটবে বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের আইনসভায় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব থাকলেও, দীর্ঘদিন অবলুপ্ত বিধান পরিষদ। তবে, প্রথমবার ক্ষমতা দখলের পর বিধান পরিষদের চিন্তাভাবনা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিধান পরিষদ গড়ার লক্ষ্যে শাসক ও বিরোধী দলের বেশকিছু প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি বেশিদূর এগোতে পারেনি, বাঁধ সেধেছিল বামেরা। এবার ক্ষমতায় আসার পর আবার বিধান পরিষদ গঠনের চিন্তাভাবনা করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তবে এ বিষয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে বিজেপির।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিধানসভায় যারা জয়লাভ করেন তাঁদের বাইরেও বহু যোগ্য ব্যক্তি থেকে যান। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে যুক্ত করতে বিধান পরিষদ গঠনের চিন্তাভাবনা করছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে ভারসাম্যের গুরুত্ব অপরিসীম। এই ভারসাম্য রক্ষা করতেই বিধান পরিষদ গঠন করা প্রয়োজন। তবে, এ বিষয়ে বিজেপির বিরোধিতা রয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সংবিধান অনুযায়ী বিধান পরিষদের তেমন কোন ক্ষমতা থাকেনা। রাজ্য সরকার যেখানে নিজেরাই জানাচ্ছে যে, তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। সেখানে বিধান পরিষদ গঠনের কি প্রয়োজন? যা পরিষদীয় ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারে। বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের পছন্দের লোকজনকে নিয়ে আসার জন্য বিধান পরিষদ গঠন করা কি আদৌ প্রয়োজন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, বিধানসভা থাকার পরেও অন্য দরজা দিয়ে আরও কিছু পছন্দের লোককে জায়গা করে দিতে কোষাগারের ওপর নতুন করে খরচের বোঝা চাপানো যুক্তিযুক্ত নয়। যখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে যে, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খারাপ, সেখানে বিধান পরিষদের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি।
এদিকে আগামী ৬ ই জুলাই বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বিধানসভায়। বিজেপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন। আবার বিধান পরিষদের অর্থ সংস্থান সম্পর্কে তৃণমূলের দাবি, ১০ বছর আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছিল। সরকার আগেই যখন বিধান পরিষদ গঠনের কথা বলেছে, তখন তার অর্থ হলো বিধান পরিষদ চালাবার মতো অর্থের সংস্থানের কথা মাথায় রেখেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধান পরিষদের বিরোধিতা করলেও বিধায়কের জোরে বিধানসভায় এই আইন পাশ হতে তৃণমূলের কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু সমস্যা হবে লোকসভায় । আবার, বেশকিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে। যে রাজ্যগুলি হল বিহার, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই সমস্ত রাজ্যে বিধান পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। কিন্তু লুপ্ত হয়ে যাওয়া উচ্চকক্ষ বিজেপি কোন রাজ্যে আবার পুনর্জীবিত করেনি। যার চেষ্টা চলছে পশ্চিমবঙ্গে। অর্থাৎ, বিজেপি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে যে, বিধান পরিষদ গঠনের চেষ্টার বিরোধিতা করবে বিজেপি। বিজেপির বিরোধিতার ফলে বিধান পরিষদ গঠন করা যাবে কিনা? তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!