এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সামনে এবার পুরভোটের চ্যালেঞ্জ, শেষ হাসি কে হাসবে- তৃণমূল না বিজেপি?

সামনে এবার পুরভোটের চ্যালেঞ্জ, শেষ হাসি কে হাসবে- তৃণমূল না বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য দখলের পর এবার তৃণমূল ও বিজেপির সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ পুরসভা নির্বাচন। একদিকে যখন পুরসভার দখলের লক্ষ্যে হিসাব-নিকাশ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, অন্যদিকে রাজ্য দখল করতে না পারলেও পুরসভার দখল করতে মরিয়া রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় শুরু হয়েছে কোন পুরসভায় কার জোর বেশি তাই নিয়ে জল্পনা। আর সেক্ষেত্রে এবার সবার আগে নাম উঠে আসছে উত্তর 24 পরগনা বনগাঁ পুরসভার। কার্যত পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই বনগাঁ পুরসভার মোট আয়তন আনুমানিক 14 হাজার 274 বর্গ কিলোমিটার। পাশাপাশি এই এলাকার মানুষের বাস আনুমানিক 1 লাখ 10 হাজার 668 জন।

তবে বনগাঁ পুরসভাটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য কারণ এখানেই রয়েছে পেট্রাপোল সীমান্ত। এই পুরসভার মধ্যে দিয়েই গেছে ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগকারী nh35 বা যশোর রোড। এবং এই পুরসভায় তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলেরই যে প্রভাব থাকবে তা অনস্বীকার্য। বিধানসভার নির্বাচনে এই পুরসভার অন্তর্গত বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে এতদিন পর্যন্ত পুরসভার প্রধান এবং প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তৃণমূলের শংকর আঢ্য। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরেই পুরসভার প্রশাসন এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির গোপাল শেঠকে নিয়ে আসা হয় দায়িত্বে।

কার্যত দীর্ঘদিন যাবৎ এই শকর আঢ্যর সঙ্গে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের মধ্যে একটি ব্যাপক দ্বন্দ্ব লেগেছিল। তার জেরেই বিশ্বজিৎ দাস পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বনগাঁ সংলগ্ন বাগদা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, বনগাঁ পুরসভার প্রশাসকের জায়গায় গোপাল শেঠকে এনে তৃণমূল একটি বড়োসড়ো চাল দিয়েছে সংগঠন পোক্ত করার ব্যাপারে। অন্যদিকে বনগাঁ পুরসভা অঞ্চলে রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা এবং সৌন্দর্যায়নের কোন খামতি না থাকলেও পুরবাসীর নালিশ এলাকার যানজট নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেহেতু এখানে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত, তাই সব সময় একটি যানজটের সমস্যা লেগেই থাকে। তার ওপর বেশ কিছুদিন যাবৎ কিছু কিছু এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তবে এই সবকিছুই নজরে রাখছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বনগাঁ পুরসভা নিয়ে পর্যবেক্ষকদের একাংশ কিন্তু স্কোরবোর্ডে সামান্য হলেও এগিয়ে রাখছে তৃণমূলকে। তাঁদের মতে, এলাকায় গেরুয়া সংগঠন কিন্তু কিছুটা হলেও নড়বড়ে। কারণ ইতিমধ্যেই ভোটের আগে যারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন কিংবা ফিরতে চাইছেন।

সেক্ষেত্রে বেসুরোরা যে তৃণমূলকেই সমর্থন্দেবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তা নিশ্চিন্তে বলা যায়। এমনকি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসেরও তৃণমূলে ফেরা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গেরুয়া শিবিরের আশা অন্যত্র। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। তাই তাঁর হাত ধরে পুরএলাকা বিজেপি দখল করতে পারে কিনা সেদিকেই এখন থাকছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!