সামনেই নির্বাচন, তাই ফের পিকের টিমের সামনে ইন্টারভিউয়ে বসতে হচ্ছে নেতা মন্ত্রীদের, চাপ বাড়ছে তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপির অভূতপূর্ব উত্থানের পর, রাজ্যে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে নিজেদের জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে পশ্চিমবঙ্গে আনে শাসক দল তৃণমূল। তারপর গত এক বছরের বেশি সময় ধরে শাসক দলকে নানা রকম ভাবে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরামর্শ দিয়ে চলেছে টিম পিকে। সম্প্রতি, শাসকদলের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছে টিম পিকে। শাসক দলের জনৈক শীর্ষ নেতা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছিলই। তা সুসংহত ভাবে পরিচালনার জন্য আইপ্যাক নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দল ও দলের শাখা সংগঠন এবং বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধিই সেই পরিকল্পনা মতো চলছেন।” সম্প্রতি শাসক শাসক দল তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন পরিকল্পনার প্রচারের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ও ‘দিদি কে বলো’ পেজের ব্যাপক প্রচার। শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত মার্চ মাসে থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ২৪ লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে। ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার হ্যান্ডেলে এর ফলোয়ার সংখ্যা ৭৫০০০ করে হয়েছে। অন্যদিকে, ‘দিদিকে বল’ পেজের প্রচার গত ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করা হয়েছিল। শাসকদল জানিয়েছে , ফেসবুকে সম্প্রতি এই পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ৫ লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে। সম্প্রতি বাংলার গর্ব মমতা নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুই পেজের ফলোয়ার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে, সম্প্রতি রাজ্যের মোট ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং ২৩ টি জেলা তে বিধানসভা, ব্লক, আঞ্চলিক স্তরে এই পেজ ব্যাপকভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিকে টিম। মোট ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে কাজ করছে আইপ্যাকের একটি ডিজিটাল টিম। প্রতিটি জেলায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের মধ্যে নির্দেশ দান, সমন্বয় কাজ করছেন পিকে টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন রকম কাজকর্ম নিয়ে পেজে প্রচার চলছে পুরোদমে। এই টিমের সদস্যরাই অনেক সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের ফেসবুক পেজে কি কি পোস্ট করতে হবে। ফেসবুকে কখন কি পোস্ট করা হবে, সমস্ত কিছুর দেখভাল করছে ও দলের শীর্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশ পাঠিয়ে দিচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের ফেসবুক পেজে। এমনকি , অনেক সময় কমেন্ট করে জনপ্রতিনিধিদের ফেসবুক পেজে তা পোস্ট করার কথা জানিয়ে দেওয়াও হচ্ছে। তবে, এ প্রসঙ্গে শাসকদলের জনৈক বিধায়কের বক্তব্য, ” বহু সময়ে বিষয় তৈরি করে আইপ্যাকই পাঠিয়ে দেয়। তবে সরাসরি আমরাও পোস্ট করতে পারি। তাতে বাধা নেই।” শাসক দলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারকার্যে পাকাপোক্ত করে তুলতে রীতিমত তাঁদের ইন্টারভিউ নিতে শুরু করেছে পিকে টিময়ের প্রতিনিধিরা। একদিকে নিজের দপ্তরের মন্ত্রী, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসংযোগ প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে পিকে টিময়ের প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি কুড়ি মিনিট ধরে বন্ধ দরজার ভেতরে ইন্টারভিউতে যোগদান করতে দেখা গেল প্রায় অর্ধ শতক ধরে রাজনীতিতে যুক্ত থাকা জনৈক তৃণমূল নেতাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বার্তা বিনিময় করতে আলাদা দুটি পেজ তৈরি করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নামের পেজটি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামকরা পেজটি তাঁর দপ্তর থেকে পরিচালনা করা হয়। এই কাজে তাদের যথেষ্ট সহায়তা করে থাকে টিম পিকে। আগামী নির্বাচনের প্রচার কার্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই মাধ্যমকে যে ভাবে মিথ্যা, কুত্সা, অপপ্রচারে কাজে লাগানো হচ্ছে, তার মোকাবিলায় সত্য তুলে ধরতে আমরাও পরিকল্পিত ভাবেই কাজ করছি।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন ”আমাদের দলে কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে— কোনও ভাবেই ভুয়ো খবর এবং ঘৃণা উদ্রেককারী কোনও ছবি বা বক্তব্য ছড়ানো যাবে না। বিজেপির সঙ্গে আমাদের আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া কর্মকাণ্ডের এটা বড় তফাত। আমরা একেবারে বুথ স্তর পর্যন্ত ভুয়ো এবং ঘৃণামূলক প্রচারের বিরুদ্ধে লড়ছি।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, তৃণমূল দলের বিজেপির মত অর্থ বল নেই। এ কারণেই তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পরিবার হিসেবেই যৌথভাবে নিজেদের দলের প্রচার করে থাকেন। তাঁর বক্তব্য, শাসকদলের নেতাকর্মী এবং তাদের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-বন্ধু সকলে মিলে বিভিন্ন বিষয়ে দলের বক্তব্য সম্মিলিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে থাকেন। প্রসঙ্গত মাস দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি ভার্চুয়াল সভা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তার অল্প সময়ের পরই গত ২১ সে জুলাই তৃণমূল দলের শহীদ দিবসের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরূপভাবে ভার্চুয়াল সভা করেছিলেন। দুই নেতা- নেত্রীর এই ভার্চুয়াল সভার বাক্তব্য সংশ্লিষ্ট দুই দলের নেতা-কর্মীরা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর তৃণমূল ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসেও এমন ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলোয়ার্স সংখ্যার বিষয়ে খোঁজ নিতে কোন একাউন্ট থেকে কিভাবে তা শেয়ার করতে হবে শামস কিছুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল টিম পিকের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের বেশ কিছুদিন আগেই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তৃতার প্রচারের সময় কি কি কমেন্ট করতে হবে সে কথা জানিয়ে দিয়েছিল টিম পিকে। আপনার মতামত জানান -