সামনেই ভোট তাই শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটছে তৃণমূল, বহিষ্কারের কাজ শুরু! গা উজাড় হয়ে যাবে কটাক্ষ বিরোধীদের! কলকাতা রাজ্য June 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারি ত্রাণের টাকা নিয়ে কোনো দুর্নীতি করা যাবে না। সম্প্রতি দলের ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে সমস্ত জেলা নেতাদের এই বার্তাই দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া নিয়ে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রত্যেকেই অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের নেতারা তাদের কাছের লোকদের এই ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছেঋ দুর্নীতি স্বজনপোষণের জালে তারা যেভাবে বিদ্ধ হচ্ছে, তাতে কিভাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছিল প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি বন্ধ করতে সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে একের পর এক নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ানো নেতাদের কখনও বহিস্কার, কখনও বা সাসপেন্ড করা হবে বলে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কোচবিহার জেলাতেও কড়া পদক্ষেপ নিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে কোনভাবেই সরকারি ত্রাণ দেওয়া নিয়ে নয়ছয় করা যাবে না বলে জানিয়ে দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তবে বিভিন্ন জায়গায় খবর পাওয়া যাচ্ছে, কোচবিহার জেলাতেও এমন অনেক তৃণমূল নেতা রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার ফলে চাপে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্য থেকে ইতিমধ্যেই সমস্ত নেতাদের নাম জেলায় পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত নেতাদের যাতে অবিলম্বে শোকজ করা হয়। তবে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে এই খবর পাওয়া গেলেও, এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা তৃণমূলের নেতারা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “এই বিষয়ে বলতে পারব না। এটুকু বলতে পারি যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকজনই দলের দায়িত্বে থাকবেন। কোনো দুর্নীতিগ্রস্তদের জায়গা তৃনমূলে হবে না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে দলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব যা বলার বলবেন।” তবে তৃণমূল নেতারা এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ আটলেও, বাস্তবে যে তারা অনেকটাই চাপে আছেন, তা স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে। কেননা ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় তেমনভাবে প্রভাব না ফেললেও, করোনা এবং 100 দিনের কাজের অনেক টাকা তৃণমূলের অনেক পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে সেই দুর্নীতি যদি সামনে চলে আসে, তাহলে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়বে রাজ্যের শাসক দল। তাই সেক্ষেত্রে এই দুর্নীতি বন্ধ করতে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নামের তালিকা করে অভিযুক্তদের নাম জেলা নেতৃত্বদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তবে এখনই যাতে এই কথা প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য নীরবতা পালন করতে হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে বলে দাবি করছে সমালোচক মহলের একাংশ। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করবার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে বর্তমানে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় তৃণমূল অনেকটাই লাভবান হবে বলে মনে করছে অনেকে। কিন্তু এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রায় বলেন, “বামেরাও শেষবেলায় শুদ্ধিকরণের পথে হেঁটেছিল। লাভ হয়নি। তৃণমূলের তো কোনো প্রশ্নই নেই। কারণ ওই দলের সবাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।” তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, তৃণমূল এখন নিজেদের ভালোর জন্য কতটা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে এবং তার ফলে তারা কতটা সাফল্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -