এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ পুরভোট তাই তৃণমূলকে মাত দিতে আসরে বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে আসরে বিজেপি

লক্ষ পুরভোট তাই তৃণমূলকে মাত দিতে আসরে বড়সড় পরিকল্পনা নিয়ে আসরে বিজেপি

দেশের জনসাধারণের মধ্যে ইতিমধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে নানান বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। শুধু বিরোধী নয়, সাধারণ মানুষেরও অভিযোগ দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনোরকম চেষ্টা করেনি বরং পরস্পরবিরোধী তত্ত্ব ধরা পড়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের গলায়। বিভ্রান্তি জোর করে চাপিয়ে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এনআরসি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজপথে নেমেছেন প্রতিবাদ করতে। এবার পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বোঝানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেইমতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ এর মাধ্যমে বিজেপির পক্ষ থেকে এনআরসি নিয়ে বোঝানো হচ্ছে।

সিএএ নিয়ে যেভাবে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ স্থাপন করছে বিজেপি, তাতে গেরুয়া শিবিরের দাবি, আগামী পুরভোটে বাংলার জনগণ গেরুয়া শিবিরকেই জয় যুক্ত করবে। বিজেপি শিবিরের আরো দাবি, গত কয়েকদিনে তৃণমূল যেভাবে এন আর সি ও সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল, তাতে মানুষ আর সাড়া দিচ্ছে না। তাই আগামী দিনের পুরসভা ভোটে এন আর সি ও সিএএ কে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক দল সহ অন্যান্য বিরোধী শিবির যেভাবে সুযোগ নেবে ভেবেছিল, তা তাঁরা আর পারবে না বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা।

বাংলা জুড়ে এন আর সি ও সিএএর বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনকে আটকাতে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে 16 জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সিএএর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে এ রাজ্যের এক কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী রাজ্য বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সিএএ নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বিরোধীরা সেটা মানুষ বুঝতে পারছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশটাই বদলে যাবে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে জানা গেছে, সিএএ এর সমর্থনে গেরুয়া শিবির যে আন্দোলন চালিয়েছিল, গত দেড় মাস ধরে তা আপাতত শেষ। এবার গত 16 জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সিএএ সমর্থনে প্রত্যেককে বোঝানো। এই মুহূর্তে প্রতিটি বুথের একশটি বাড়িকে বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই অনুযায়ী নেতারা তাঁদের বাড়িতে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, আগামী 23 শে জানুয়ারি প্রতিটি বুথে বিস্তারকরা যাবেন সিএএ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে। এই মুহূর্তে এনআরসি নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেছেন মানুষরা। এদিন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, এ রাজ্যে এনআরসি নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে না।

সামনেই পশ্চিমবাংলার আসন্ন পুরসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এবার রাজ্যের প্রায় অর্ধেক জুড়েই হবে পুরসভার নির্বাচন। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের 100 টার বেশি পুরসভায় নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন বার করে দিয়েছে প্রতিটি ওয়ার্ডের সংরক্ষণ তালিকা। যার মধ্যে দিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে শুরু করেছে পুরসভা ভোট নিয়ে। অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রে খবর, সিএএ নিয়ে জনসংযোগ সম্পর্ক অভিযান শেষ হলেই তাঁরা পুরভোটের দিকে নজর দেবে। আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচন দিতে বদ্ধপরিকর বিজেপি শিবির আর তার আগে পুরো নির্বাচন অনেকটা সেমিফাইনাল ম্যাচের মতো আর তাই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া বিজেপি শিবির।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনের দামামা বেজে উঠেছে। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রাজনৈতিক রণকৌশল সাজাতে ব্যস্ত রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরগুলি। অন‍্যদিকে, লোকসভা ভোটের পর থেকেই এ রাজ্যের মসনদ দখল করতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। আর তার আগে রাজ্যের পুরভোট জেতার জন্য লড়াইয়ের ময়দানে নামছে যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলি। আপাতত আগামী দিনের নির্বাচনকে ঘিরে এ রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!