প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার বড়সড় বিপাকে পড়লেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। অভিযোগ, বিজেপির এই হেভিওয়েট সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানিমূলক টুইট করার অভিযোগ উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেই বিজেপি সাংসদের টুইটের ছবি পোস্ট করে পুলিশের পক্ষ থেকে সেই পোস্টকে “বিভ্রান্তিকর” বলে দাবি করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যেভাবে বিজেপি সাংসদের এই পোস্টকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করা হল, তাতে অর্জুন সিংহ নতুন করে চাপে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কি এমন পোস্ট করেছেন ব্যারাকপুরে বিজেপি সাংসদ! যার জেরে এত বিতর্ক? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পয়লা সেপ্টেম্বর একটি কালী প্রতিমা পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ছবি টুইট করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। যেখানে তিনি লেখেন, “দিদির জিহাদী রাজনীতি এখন হিন্দুধর্ম ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেখুন মুর্শিদাবাদে কিভাবে মন্দিরের উপর হামলা চালিয়ে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দিয়েছে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ।”

স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবাংলার বুকে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একজন বিজেপি সাংসদ যেভাবে এই ঘটনার ছবি পোস্ট করলেন, তাতে আরও উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সত্যিই কি তাহলে মুর্শিদাবাদের বুকে এই ধরনের ঘটনা ঘটল! সমালোচক মহলের তরফে বিজেপি সাংসদের টুইট করা এই ছবিকে তুলে ধরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে এবার বিজেপি সাংসদের করা টুইটের ছবি দিয়ে পাল্টা টুইট করল রাজ্য প্রশাসন।

যেখানে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এই পোস্ট বা দাবি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকলে বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক পোস্ট এড়িয়ে চলুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও অর্জুন সিংহকে নিয়ে নানা সময় নানা বিতর্ক হয়েছে। মাঝে তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনের তল্লাশি চরম বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এবার সেই অর্জুনবাবুর পোস্ট করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল।

অর্জুন সিংহ সেই ছবি টুইট করে রাজ্য প্রশাসন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাপকভাবে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অর্জুনবাবুর সেই ট্যুইটকে হাতিয়ার করে যেভাবে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা টুইট করে গোটা ঘটনাকে ভিত্তিহীন এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দেওয়া হল, তাতে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ প্রবল চাপে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।