এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সম্পূর্ণ বেনিয়মে করোনা রোগীর মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিলো হাসপাতাল

সম্পূর্ণ বেনিয়মে করোনা রোগীর মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিলো হাসপাতাল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। শুধু মাত্র কলকাতাতেই গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬০০ অতিক্রম করে গেছে। মানুষের মধ্যে দানা বাঁধছে করোনার তীব্র আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে এবার যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতাল থেকে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ তাঁর বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে গেল এম্বুলেন্স।

গতকাল সোমবার যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। গত শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল তাঁর মৃত্যুর পর কেপিসি হাসপাতাল থেকে এক এম্বুলেন্স এসে তাঁর বাড়ির সামনে তাঁর মৃতদেহ রেখে চলে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বাড়ির সামনে তাঁর মৃতদেহ ফেলে রেখেই এম্বুলেন্স নিয়ে চলে যান ড্রাইভার। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার কথা শুনে পদক্ষেপ নেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনায় থানায় খবর দেন তিনি। এরপর পুলিশ মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে। এ বিষয়ে হাসপাতালকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু হাসপাতাল থেকে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবার। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছে এলাকাবাসী। হাসপাতালে কাজকর্ম নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, করোনার বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে প্রখ্যাত চিকিৎসক কুনাল সরকার জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখে দেয়ার ক্ষেত্রে হেরে গিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবু, কিছু কিছু জায়গায় সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে দেখা যাচ্ছে। কুম্ভমেলার পর ও বাংলায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর যে কি অবস্থা হবে? তা নিয়ে চিকিৎসকেরা খুব চিন্তায় আছেন। এই দুটি রাজ্য বাদ দিয়ে অন্য রাজ্যে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। বাংলাতে নির্বাচনের কারণে জুন মাস পর্যন্ত সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকার আশঙ্কা করছেন তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!