এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বালিঘাট-ইটভাটার “তোলার” রাশ নিয়েই কি তৃণমূলে বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-খুনোখুনি? উঠছে প্রশ্ন

বালিঘাট-ইটভাটার “তোলার” রাশ নিয়েই কি তৃণমূলে বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-খুনোখুনি? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি তৃণমূলের বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। যার মধ্যে বাঁকুড়া জেলা অন্যতম শুভাশিস বটব্যালকে সরিয়ে সেই জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্যামল সাঁতরাকে। তবে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল অনুষ্ঠিত হতে না হতেই বিষ্ণুপুর ব্লকের উলিয়ারা পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন কোণঠাসা হয়ে থাকা তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী এখন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। স্বভাবতই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে অপর গোষ্ঠী। আর দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে এবার এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তীব্র সমস্যা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

জানা গেছে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে উলিয়ার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শেখ বাবর আলির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই শেখ বাবর আলী বিষ্ণুপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। গত 2013 সালে তিনি উলিয়ারা পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে শ্যাম মুখোপাধ্যায় পরাজিত হলে তার প্রভাব ক্রমশ কমতে থাকে। আর এরপরই বিক্ষুব্ধদের পক্ষ থেকে আনা অনাস্থায় প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই শেখ বাবর আলীকে।

আর এরপরেই সম্প্রতি তার প্রাণ চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের অন্দরমহলে‌। কিসের জন্য এই তৃণমূল নেতার প্রাণ চলে গেল? অনেকে বলছেন, এর প্রধান কারণ তোলাবাজি, ইটভাটা এবং বালিঘাট। অভিযোগ, দ্বারকেশ্বর নদীর বালিঘাট ও ইটভাটা থেকে তোলা আদায় এবং পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকা কার হাতে আসবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল। ইতিমধ্যেই সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের নাম করে ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এই দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ যে তোলা আদায়, সেই বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে গেছে বিরোধীদের কাছে। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়েছিল। ঈদের মধ্যে সেই শেখ বাবর আলী গ্রামে ফিরতেই সংঘাত চরমে ওঠে‌। আর এরপরই শনিবার তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এক কর্মী খুন হওয়ার ঘটনা এখন তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। এদিন এই প্রসঙ্গে শ্যাম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলের কিছু লোকজন ওই গ্রামের দলীয় কর্মীদের একাংশকে প্ররোচিত করে এই ঝামেলা তৈরি করেছেন।”

এই ব্যাপারে তৃনমূলেমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “আমি 4 মাস জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। তার মধ্যে তিন মাস করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই কেটে গিয়েছে। বিষ্ণুপুরের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামানোর সুযোগ পাইনি। আমার কোনো গোষ্ঠী নেই। গোষ্ঠীবাজিকে কখনও প্রশ্রয় দিই না।” তবে তোলাবাজির কারণে এই খুন হল বলে যে অভিযোগ করছে বিরোধীরা, তা কতটা সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, “খুনের ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে।

খুনের পেছনে কী কারণ, তা তদন্তেই উঠে আসবে।” এখন তদন্তে এই ব্যাপারে কি উঠে আসে এবং যদি সত্যি সত্যি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তোলাবাজির কারণে তৃণমূলের কর্মী খুন হয়ে থাকেন বলে জানা যায়, তাহলে শাসকদলের অন্দরমহলে যে বড়সড় অস্বস্তি দানা বাঁধবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!