এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন বিজেপিতে, বড়সড় পদ পেলেন তৃণমূল থেকে আগত নেতা

ফের বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন বিজেপিতে, বড়সড় পদ পেলেন তৃণমূল থেকে আগত নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে তৃণমূলের অনেক প্রাক্তন নেতা বিজেপির নানা শাখা সংগঠনের প্রধান দায়িত্বে রয়েছেন। এক্ষেত্রে মূল সংগঠনের সহ সভাপতি সহ একাধিক দায়িত্বে অনেক নেতাকে জায়গা করে নিতে দেখা গেছে। আর এবার ফের বড়োসড়ো পরিবর্তন হলেও বঙ্গ বিজেপিতে সূত্রের খবর উত্তর কলকাতার দায়িত্বে এতদিন দীনেশ পান্ডে থাকলেও এবার তার জায়গায় আনা হচ্ছে শিবাজী সিংহ রায়কে। একসময় তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

জানা যায়, রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সাধন পান্ডের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই শিবাজী সিংহ রায়। তবে প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর এবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে উত্তর কলকাতার দায়িত্বে আনল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতাতেও সাংগঠনিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, দক্ষিণ কলকাতায় এতদিন দায়িত্বে ছিলেন মোহন রাও। কিন্তু এবার তার জায়গায় আনা হল সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বস্তুত, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই দক্ষিণ কলকাতায় আনার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

একাংশ বলছেন, অতীতে যিনি এই দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্বে ছিলেন সেই মোহন রাও ভালো করে বাংলা বলতে পারতেন না‌। তাছাড়া দক্ষিণ কলকাতার পর্যবেক্ষকের সঙ্গে তার সম্পর্কও খুব একটা ভালো ছিল না। এছাড়াও জনসাধারণের সঙ্গে তিনি ঠিক মত মিশতেন না বলে অভিযোগ‌। তাই সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের সংগঠনকে দক্ষিণ কলকাতায় আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য মোহন রাওকে সরিয়ে সেখানে সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনল ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকে আবার বলছেন, যেভাবে উত্তর কলকাতায় তৃণমূল থেকে আগত নেতা দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে গেলেন, তাতে রাজ্য কমিটি নিয়ে যেভাবে বিজেপির অনেক পুরনো নেতারা ক্ষিপ্ত হয়েছেন, সেই রকমই উত্তর কলকাতার অনেক পুরনো বিজেপি কর্মীরা

এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারেন। যার জেরে বিজেপিতে তৈরি হতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিয়ে এখন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব কতটা কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের‌। তবে এখন দেখার বিষয়, পুরনো নেতৃত্বকে সরিয়ে এই নতুন মুখের ওপর ভরসা রেখে বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ এবং উত্তর কলকাতায় কতটা ভালো ফল করে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!