এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের মহাযুদ্ধে দুর্নীতি অস্ত্রেই তৃণমূল বধ? সাংবাদিক বৈঠকে বড়সড় ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের

একুশের মহাযুদ্ধে দুর্নীতি অস্ত্রেই তৃণমূল বধ? সাংবাদিক বৈঠকে বড়সড় ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাজ্যের দুই যুযুধান শিবির হল তৃণমূল এবং বিজেপি। এই দুই শিবিরের মধ্যে বিভিন্ন সময় দেখা যায় রাজনৈতিক বিতণ্ডা। কখনো কখনো তার তীব্র আকার ধারণ করে বলে মত অনেকের। সম্প্রতি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হয়েছিল গেরুয়া শিবির বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও প্রাথমিকভাবে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও পরবর্তীতে রাজ্যের সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখে বর্তমানে শাসক শিবির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মনে করা হয়।

কিন্তু বিরোধী শিবিরের দাবি, পুরোটাই সাধারণের চোখে ফাঁকি দেওয়ার অনন্য কৌশল‌। এহেন দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরাসরি সমস্ত অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরাই যে বিপুলভাবে দায়ী তাও জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের।

আর সেখানেই তিনি জানান, দুর্নীতিসহ একাধিক বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। শুধু তাই নয়, আমফান ত্রাণ দুর্নীতির পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ মিড-ডে-মিলের খাবারের নিম্নমানের অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যে ফেরত আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা যে এখনও বর্তমান সে কথা মনে করান তিনি। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন দাবী জানান, মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে। এর সাথেই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ নীতিকে সমর্থন করার কথা বলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি নিয়ে সম্পূর্ণ দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছেন বাম শিবিরের ঘাড়ে। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ উল্লেখযোগ্যভাবে বান শিবিরের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে “কোনও সিপিএম নেতা তো জেল খাটেননি। চিটফান্ড কেলেঙ্কারিও তো দিদির আমলেই!” তবে এদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ কোন মন্তব্য করতে দেখা যায়নি রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বেসরকারিকরণ নীতি নিয়েও নিজের সমর্থন জানান তিনি। অন্যদিকে রাজ্যে হু হু করে বেড়ে চলা করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ বলে জানা গেছে। তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা যেভাবে লকডাউন এর নীতি ভেঙ্গে রাস্তায় চলাচল করেছেন, সে কারণেই করোনার এত বাড়বাড়ন্ত। একথা আগেও রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে বলতে শোনা গেছে বলে মত অনেকেরই। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি প্রশাসনের ওপর দায়িত্ব ছেড়েছেন বলে খবর।

এদিন দিলীপ ঘোষ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে প্রশাসনের আরো কড়া হওয়া প্রয়োজন। নিয়ম ভাঙলে কড়া হাতে পুলিশ ব্যবস্থা নিলে তবেই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে বলে মত তাঁর। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দিলীপ ঘোষ যেভাবে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে, তা যে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে পুরোটা করা সে কথা বলাইবাহুল্য। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে লড়াই যে সেয়ানে সেয়ানে জমে উঠবে, সেব্যাপারে নিঃসন্দেহ বাংলার রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!