এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নতুন দায়িত্ব পেয়েই সংগঠনে ব্যাপক রদবদল, তবুও থামছে না অন্তর্দ্বন্দ্ব! চিন্তায় হেভিওয়েট নেতা

নতুন দায়িত্ব পেয়েই সংগঠনে ব্যাপক রদবদল, তবুও থামছে না অন্তর্দ্বন্দ্ব! চিন্তায় হেভিওয়েট নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভার নির্বাচন আসতে আর বিশেষ দেরি নেই। তৃণমূল, বিজেপির পাশাপাশি এবার কংগ্রেস শিবির নিজেদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছে সম্প্রতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে। রাজ্য কংগ্রেস শিবিরে হয়ে গেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। দ্বিতীয়বার প্রদেশ সভাপতি পদের দায়িত্ব নিয়ে হাই কমান্ডের নির্দেশে সবাইকে একসাথে নিয়ে চলতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর সে কারণেই নতুন জেলা কমিটিতে সমস্ত পক্ষই জায়গা পেয়েছে। মূলত কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ ছবিকেই সামনে আনার চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু এত কিছুর পরেও কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কিছুতেই সামলানো যাচ্ছেনা। রাজ্যস্তরে কংগ্রেস শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনভাবে সামাল দেওয়া গেলেও এবার নতুন করে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল। সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন, আর কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছে  বামেদের সঙ্গে জোট করে তাঁরা লড়বে। সেই প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই যেভাবে প্রদেশ কংগ্রেস শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তা রীতিমতো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে চিন্তায় ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন রাজ্য কমিটিতে কংগ্রেস বিক্ষুব্ধ পক্ষের প্রায় সব নেতাই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র্রর পুত্র রোহন মিত্রও দলের সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন। দু-একটি জেলা ছাড়া বেশির ভাগ জায়গাতেই পুরনো সভাপতিরাই দায়িত্ব রয়েছেন। অন্যদিকে জোট গঠনে ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশ্যে উদ্যোগী হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু এসব পরিকল্পনার মাঝেই বাদ সেধেছে জেলায় জেলায় কংগ্রেস নেতা কর্মীদের প্রকাশ্যে কোন্দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে শুরু হয়েছে একে অপরের দিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। যেমন- পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা রাজ্য কমিটিতে স্থান পাওয়া এক কাউন্সিলরকে শাসকদলের গুপ্তচর বলে ক্রমাগত গালমন্দ করে যাচ্ছে ফেসবুকে। তিনিও আবার পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। অন্যদিকে নদিয়ায় বিজেপি থেকে ঘরে ফেরা এক প্রাক্তন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়েছে কংগ্রেসের ক্ষোভ।

বিজেপি থেকে ঘরে ফিরে দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কিভাবে পাওয়া গেল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে পুরনো কংগ্রেসীরা ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে যদি বিধানসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা দল ছাড়বেন। বরাবরই কংগ্রেসে সোমেন মিত্র এবং অধীর চৌধুরী দুটি আলাদা শিবির বলে গণ্য হতো। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কিন্তু পুরনো গোষ্ঠীবিবাদ যে এখনো একই জায়গায় রয়েছে তা আবারও প্রমাণ হলো।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গেছে। বর্তমানে নির্বাচনে দাঁড়াতে হলেও তাঁদেরকে বামেদের সঙ্গে জোট করে দাঁড়াতে হয়। এই অবস্থায় কংগ্রেস শিবিরের অন্দরে যেভাবে গোষ্ঠী কোন্দল তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে, তা সামলাতে না পারলে কিন্তু কংগ্রেসের আর কোনরকম সংগঠন বলে কিছু থাকবে না। আপাতত এই অবস্থায় বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কংগ্রেস শিবিরে শান্তি ফেরাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!