এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বেনোজল’ প্রসঙ্গে সংঘ বনাম বিজেপির দ্বন্দ্ব চরমে, কোন দিকে এগোচ্ছে পরিস্থিতি! তীব্র চাঞ্চল্য

‘বেনোজল’ প্রসঙ্গে সংঘ বনাম বিজেপির দ্বন্দ্ব চরমে, কোন দিকে এগোচ্ছে পরিস্থিতি! তীব্র চাঞ্চল্য


লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন দল থেকে একের পর এক নেতাকর্মীরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে শুরু করেছেন। আর তার জেরে দলে বেনোজল ঢুকছে বলে এবার বিজেপিকে সতর্ক করে দিল বঙ্গের সংঘ নেতৃত্ব। জানা গেছে, বাংলার আরএসএসের পত্রিকা স্বস্তিকাতে গত জুন মাসেই প্রকাশিত হয়েছে যে, বেনোজল ঢুকতে না দেওয়ার মতো বিষয়গুলো। এমনকি অপরাধীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য যে অপরাধীদেরই প্রয়োজন, এরকম একটি অর্থহীন এবং সর্বনাশা যুক্তি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সেই পত্রিকায়।

আর এইখানেই একাংশের ধারণা যে, আরএসএস অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে যে প্রবেশ প্রক্রিয়া চলছে, তা ঠিক মতো মেনে নিতে পারছে না। এদিন এই প্রসঙ্গে জিষ্ণু বসু বলেন, “ক্ষমতায় আসাটাই একমাত্র লক্ষ্য নয়।” তবে নাগপুরের আরএসএস কর্তারা ক্ষমতা একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষে অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন। অনেকে আবার বলছেন, বাংলায় এখন যা পরিস্থিতি, 5-6 বছর আগে তা মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির সামিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে নাগপুরের এক প্রবীণ সঙ্ঘ নেতা বলেন, “যতদিন দল ক্যাডারভিত্তিক থাকে ততদিন দল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু দল আকারে ছোট থাকে, ক্ষমতায় আসতে পারে না। ক্ষমতায় আসার জন্য ক্যাডারভিত্তিক দল থেকে বড় জনভিত্তি সম্পন্ন দল বা “মাসপার্টি” হয়ে ওঠা জরুরী এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে এখন নিজেদের জনভিত্তি বাড়াতে হবে।” আর তাই লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেবি বাংলায় কিছুটা সাফল্য পাওয়ার পরেই যেভাবে শাসক দল তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন, তাতে অনেক বেনোজলের প্রবেশ করতে গেরুয়া শিবিরের যাতে না ঘটে, তার জন্যই এখন সংঘের একাংশ তাদের মতামত দিতে শুরু করেছেন।

এমনকি সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও নিজের মতামত এই ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এইখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। তাহলে কি মোহন ভাগবতের কথা অমান্য করতে পারবে বিজেপি! এদিন এই প্রসঙ্গে নাগপুরের এক কর্তা বলেন, “সঙ্ঘ এই কাজ কখনই করে না। সক্রিয় রাজনীতিটা বিজেপি করে। তাই বিজেপিই ঠিক করবে তারা কাকে নেবে, আর কাকে নেবে না। এই বিষয়ে সঙ্ঘের নাক গলানোর প্রশ্নই নেই।”

তবে এর পাল্টা জিষ্নু বসু বলেন, “আমরা বলেছি দুর্নীতিগ্রস্ত ও জেহাদিদের বিজেপিতে ঠাই দেওয়া যাবে না।” কিন্তু বিজেপিতে তো  অভিযুক্তরা রয়েছে! তাহলে তাদেরকে নিজেদের দলে কেন গ্রহণ করল! এদিন এই প্রসঙ্গে জিষ্নু বসু বলেন, “কাকে নেওয়া যায়, আর কাকে নেওয়া যায় না সেটা বোঝার ক্ষমতা বিজেপি নেতৃত্বের ভালোই রয়েছে। রাজনীতিটা তারা করেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তারাই নেন। আমরা এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না।”

কিন্তু দলবদলের এই পালার মাঝেই সংঘ যেভাবে ছাকনি দিয়ে থাকার কথা বলছেন, তা কি আদৌ সম্ভব হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে এককালে সংঘ করা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই স্রোতকে যিনি আটকাতে যাবেন, তিনি নিজেই ভেসে যাবেন।” আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যে সংঘ সম্পর্কে তার যে অমনোভাব প্রকাশ পেল, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!