সাংগঠনিক বৈঠকের হাত ধরে তৃণমূল শিবিরে এবার বড়সড় পরিবর্তন, হয়ে গেল মুখ বদল কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক নিয়ে। আজ সকাল থেকেই নজর ছিল সবার কালীঘাটের দিকে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর আজ প্রথম তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক সম্পন্ন হল। এবং এই বৈঠকের মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই যার অন্যতম হল তৃণমূলের বেশকিছু পদের অদলবদল। যেমন- এই মুহূর্তের সব থেকে বড় খবর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি এতদিন যুব তৃণমূল সভাপতি পদে ছিলেন। আজকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। আর তারপরেই তিনি মাদার তৃণমূলে প্রবেশ করলেন। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় অর্থাৎ তৃণমূলের যুব সংগঠনের সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে। পাশাপাশি আজকে তৃণমূলের বৈঠকে কথা মতোই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেই অনুযায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হয়েছে তৃণমূলের অন্যতম মুখ কুণাল ঘোষকে। একই সাথে মহিলা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি করা হলো কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী হলেন রাজ্য তৃণমূল সংস্কৃতি শাখার সভাপতি। অন্যদিকে প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ক্ষেতমজুর শাখার সভাপতি পদের। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী করা হয়েছে দোলা সেনকে। প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দোলা সেন কিংবা পূর্ণেন্দু বসু সহ অনেককেই টিকিট দেওয়া হয়নি। বদলে এইসব নেতাদের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তৃণমূলের বঙ্গজননীর সভানেত্রী করা হয়েছে মালা রায়কে। একইসাথে জানা গিয়েছে, আজকের বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে এরপর থেকে মন্ত্রীরা আর কোনমতেই জেলা সভাপতি থাকতে পারবেন না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই সিদ্ধান্ত যে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে সে কথা বুঝতে কারোরই অসুবিধে হচ্ছেনা। এছাড়াও মন্ত্রীদের গাড়ির লালবাতি ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে রাশ টানার কথা বলা হয়েছে নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, দলের অন্যতম বিধায়ক যিনি ফেসবুকে অহরহ আসেন, সেই মদন মিত্রকে সাবধান করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা নিয়ে। প্রসঙ্গত, মদন মিত্র আজকেই ফেসবুকে কামারহাটি পৌরসভা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রাখেন। পরে অবশ্য ভিডিওটি উধাও হয়ে যায় মদন মিত্রের পেজ থেকে। একইসাথে তৃণমূল নেতাদের দলের ভাবমূর্তি সম্পর্কে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কোনরকম দুর্নীতিতে যাতে কোন নেতার নাম না জড়ায় সেদিকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। সূত্রের খবর, আগামী এক মাসের মধ্যে আটটি জেলা কমিটিতেও বদল আসবে। প্রসঙ্গত, আজকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সুতরাং তৃণমূলের আগামী লক্ষ্য যে 2024, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অন্যদিকে দলবদলকারীদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত হতে চলেছে, তা আজকেও স্পষ্ট হলোনা। গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতাই যারা দল ছাড়তে চান, তাঁরা আজকের বৈঠকের দিকে নজর রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁদের আজকে হতাশ হতে হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত তৃণমূল শিবিরের আজকের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন কোন নাটকীয় মোড় তৈরি হয় কিনা এবার, সেদিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -