এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মীর হত্যা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা মেদিনীপুরে, আইন অমান্য আন্দোলনে নামলেন বিজেপি কর্মীরা

সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মীর হত্যা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা মেদিনীপুরে, আইন অমান্য আন্দোলনে নামলেন বিজেপি কর্মীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম থেকেই রাজ্যের বিজেপি শিবির শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে, রাজ্যের আইন শৃংখলার পতন হয়েছে এই সরকারের আমলে। অন্যদিকে দিনের পর দিন সরকার বিরোধী দলগুলির মধ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রবল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছে, রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা। সম্প্রতি এগরার বরিদা গ্রামে লিয়াকত আলি নামক একজন সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। আর তাই নিয়েই ধুন্দুমার শুরু হয়ে যায় মেদিনীপুর জুড়েই।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিনা কারণে তাঁদের সংখ্যালঘু সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করে দাবি জানানো হয়েছে, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই হত্যা। আর এই হত্যার প্রতিবাদে সম্প্রতি এগরা শহরে রীতিমতো শতাধিক বিজেপি কর্মী আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করে। তাঁরা এগরা থানার ভেতরেও ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। যদিও পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের থানা থেকে বার করে দেয়।

কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এতে না থেমে এগরা কাঁথি সড়কের ত্রিকোণ পার্কে শুরু করে অবরোধ। যার ফলে কিছু সময়ের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হচ্ছেনা। অন্যদিকে আইন অমান্য কর্মসূচির জেরে এদিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী সহ জনাদশেক বিজেপি কর্মী। এদিন পটাশপুর এবং ভগবানপুরেও দলীয় কর্মী হত্যার প্রতিবাদে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী এদিন জানান, রাজ্যে সংখ্যালঘু ভাইয়ের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে শাসক সরকার। তাই এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। অন্যদিকে এদিন রামনগরেও বিজেপি কর্মীদের আইন অমান্য কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। আ্য তাই নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধে এলাকায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আটক হয় রামনগর থানার পুলিশের হাতে। এ ব্যাপারে রামনগর 2 ব্লকের বিজেপির পশ্চিম মন্ডল সভাপতি বাপি দাস অভিযোগ করেন, বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাচ্ছিল।

কিন্তু পুলিশ শাসক দলের মদতে সেই কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। মোটের উপরে এদিন মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায় দলীয় কর্মী হত্যার প্রতিবাদে শাসক ও বিরোধীদলের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই এ ধরনের ঘটনা বেশি হচ্ছে রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচনের হাত ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও বিরোধী দল বিজেপি যে সর্বাগ্রে এগিয়ে রয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে তা ইতিমধ্যে পরিষ্কার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!