এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “সাংগঠনিক পদে গুরুত্ব না পেলে নিজেদের মতো কর্মসূচি নেব”- নতুন করে শুরু দ্বন্দ্ব! ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি !

“সাংগঠনিক পদে গুরুত্ব না পেলে নিজেদের মতো কর্মসূচি নেব”- নতুন করে শুরু দ্বন্দ্ব! ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তি !

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে শাসকদল তৃণমূল প্রেস্টিজিয়াস ফাইট হিসাবে দেখতে শুরু করেছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলকে সাফল্যের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে শাসকদল তৃণমূলে সংগঠনগত রদবদল ঘটিয়ে নতুন করে জেলা, ব্লক, বুথ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। অনেক স্থলে পুরোনো জেলা, ব্লক, বুথ সভাপতিদের অপসারিত করে নতুন সভাপতিদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে অপসারিত প্রাক্তন সভাপতিরা অনেক সময় দলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন। এর ফলে দলে দেখা দিচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা। এমনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলায়।

গত শনিবার পুরুলিয়া জেলার মানবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের পুঞ্চার লৌলাড়ায় তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। যে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মানবাজারের বিধায়ক ও সেই সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি প্রমুখরা । কিন্তু অনুপস্থিত থাকলেন পুঞ্চা ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক নেতা- কর্মী।

প্রসঙ্গত মানবাজার বিধানসভায় মানবাজার ও পুঞ্চা ব্লকের ১০টি ও হুড়া ব্লকের ৩টি পঞ্চায়েত আছে। পুঞ্চা ব্লকের মাঝ বরাবর আছে কংসাবতী নদী। যা এই ব্লককে দু ভাগে বিভক্ত করেছে। নদীর পশ্চিম দিকে আছে কেন্দা থানা এলাকার পাঁচটি অঞ্চল। যেগুলি হলো, কেন্দা, পানিপাথর, পিঁড়রা, জামবাদ ও চাঁদড়া-রাজনওয়াগড়। এই অঞ্চলগুলি থেকে কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না গত শনিবারের এই সম্মেলনে। তাঁদের এই অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে গত রবিবার জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু জানালেন, ‘‘ বিধানসভার সব অঞ্চলের প্রতিনিধিরা ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকলে ভাল লাগত। কংসাবতী নদীর পশ্চিম পাড়ের ওই পাঁচ পঞ্চায়েতের নেতাদের ক্ষোভের কথা জেনেছি। শীঘ্র তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল দলের সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে তৃণমূল দলের সাংগঠনিক পদে রদবদলের কারণে কংসাবতীর নদীর পশ্চিম পাড়ের এই পাঁচটি পঞ্চায়েতের বহু নেতা দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েন। দলের নতুন কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এই ৫ পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। যে বৈঠকে তাঁরা সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকবার সিদ্ধান্ত নেন। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের এক অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য, ” ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাংগঠনিক পদে গুরুত্ব না পেলে এলাকায় নিজেদের মতো করে আমরা কর্মসূচি নেব। তবে আমরা তৃণমূলে রয়েছি, তৃণমূলেই থাকব।’’

এ প্রসঙ্গে দলের প্রতি ক্ষুব্ধ কেন্দা অঞ্চল সভাপতি নিতাই পাল রবিবার জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই তারা রাজনীতিতে আসার উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন। সিপিএমএর বিরুদ্ধে তারা দীর্ঘকাল ধরে লড়াই চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন সিপিএম থেকে আসা নেতারাই সংগঠনের পদ পাচ্ছেন। এ কারণেই তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন দলের প্রতি। জেলা সভাপতি ও দলের শীর্ষ নেতাদের ইতিপূর্বেই তাঁরা তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে পুঞ্চা ব্লক তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতো জানালেন যে, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যার সমাধানের জন্য আলোচনা করা হচ্ছে। আবার , এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য , ‘‘যোগ্যতার নিরিখে পদ বণ্টন করা হয়েছে। সব কর্মীই দলের সম্পদ। তবে নদীপারের নেতাদের ক্ষোভ মেটাতে বৈঠকে বসব।’’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূল দলের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে দিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!