এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সাংসদ বিধায়কের বাড়তে থাকা দূরত্ব কি ছাপ ফেলছে গেরুয়া ভোটব্যাঙ্কে? জল্পনা তুঙ্গে

সাংসদ বিধায়কের বাড়তে থাকা দূরত্ব কি ছাপ ফেলছে গেরুয়া ভোটব্যাঙ্কে? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দূরত্ব বাড়ছে এবং সেই দূরত্ব প্রকাশ্যেও এসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের অমিত শাহের সভায় অতিথি তালিকায় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নাম না থাকা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক গুঞ্জন। এরপর নানা টালবাহানার পর আমন্ত্রণ তালিকায় নাম থাকা সত্বেও অমিত শাহের সভায় ঢুকতে গিয়ে বাধা পান বিশ্বজিৎ। শেষমেষ শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠান শুরুর বেশ কিছুক্ষণ পরে ঢুকতে পারেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ। আর তারপরেই রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বনগাঁর উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।

বিশ্বজিৎ দাবি করেছেন, শান্তনু ঠাকুর নিজের স্বার্থে মতুয়াদের সঙ্গে রাজনীতি করছেন এবং দলকে ব্লাকমেইল করছেন। আর এবার তারই পাল্টা দিলেন এবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এদিন শান্তনু ঠাকুর নাম না করে বেসুরো বিধায়কের পেছনে যে রাজ্যের শাসক দলের খেলা চলছে, এমনই অভিযোগ করেছেন। প্রসঙ্গত, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, শান্তনু ঠাকুর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনেক কিছুই বলছেন। কিন্ত যারা ভোট দিচ্ছেন তাঁরা তো বৈধ নাগরিক। আর এই জবাব দিতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর রীতিমত সতর্ক করেছেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে আগামী দিনে নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শান্তনু ঠাকুর এদিন বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়াদের কাছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বার্তা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হয়ে বিশ্বজিৎ দাস যেভাবে কথা বলছেন তাতে আগামী দিনে জনপ্রতিনিধি হতে তাঁর সমস্যা হবে। যথারীতি বিশ্বজিৎ দাস এই আশঙ্কা আগেই করেছিলেন। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস শান্তনু ঠাকুরের কারণে তার টিকিট পাওয়া নিয়ে আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিশ্বজিৎ দাসের দূরত্ব সামনে এসে যায়, যখন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বজিত দাস দেখা করেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল বিশ্বজিৎ দাসের দলবদল নিয়ে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ দাস লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে চলে যান। সব মিলিয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্ব ইস্যুতে বনগাঁ অঞ্চলের গেরুয়া গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির যে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে তা বলার বাকি রাখেনা। যথারীতি এই নিয়ে শাসক শিবিরের কটাক্ষ ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্ক গেরুয়া শিবিরের জয়ের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অন্যতম অংশ। সেক্ষেত্রে বনগাঁ অঞ্চলের গোষ্ঠীকোন্দল যথারীতি মতুয়া মহলকেও দুই ভাগ করে দেবে। আর তার প্রভাব কিন্তু সরাসরি পড়বে গেরুয়া শিবিরের ভোটে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত, বনগাঁ অঞ্চলের সাংসদ ও বিধায়কের দূরত্ব মেটাতে বিজেপি নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!