এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সংসদে বাদল অধিবেশনে বিজেপি বিরোধীতার ক্ষেত্রে একাধিক হিসাব চালাচ্ছে তৃণমূল, পাশে কি সবাইকে পাবে?

সংসদে বাদল অধিবেশনে বিজেপি বিরোধীতার ক্ষেত্রে একাধিক হিসাব চালাচ্ছে তৃণমূল, পাশে কি সবাইকে পাবে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জাতীয় রাজনীতিতে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম বিরোধী মুখ হয়ে উঠতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে লোকসভার বাদল অধিবেশন অনুঘটকের কাজ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে এবার সংসদে বিরোধীতার ক্ষেত্রে নেতৃত্ত্বভার নিজেদের হাতেই তৃণমূল কংগ্রেস রাখতে চাইছে। এবং সেই লক্ষ্যে কৃষক আন্দোলন থেকে শুরু করে পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির মতন জনবিরোধী বিষয়গুলিকে সামনে নিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কার্যত বিজেপির বিরোধিতা ক্ষেত্রে রাজ্য থেকে কেন্দ্র এই বিষয়গুলি প্রধান হয়ে উঠেছে বর্তমানে।

এ মাসের 21 তারিখের পর দিল্লি যেতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল জাতীয় রাজনীতিতে জল মেপে নিতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকেই। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে সারা ভারত দেখেছে বাংলায় লড়াই হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির। সে ক্ষেত্রে বিজেপির প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন গেরুয়া শিবিরের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের দিকে নজর রয়েছে জাতীয় স্তরের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিরও।

ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান আলোচনা চালিয়েছেন পাঞ্জাবের অকালি দলের রাজ্যসভার নেতা নরেশ গুজরালের সঙ্গে। কার্যত পাঞ্জাবের অকালি দল বাদল অধিবেশনে কৃষি বিল এবং কৃষক আন্দোলন নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হতে চায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাত্র 3-4 জন সাংসদ নিয়ে আকালি দলের পক্ষে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। সে জায়গায় আসন্ন বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় তৃণমূল বিরোধিতার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবার বিষয়টি ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একদিকে যেমন কংগ্রেসের সঙ্গে সেই অর্থে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, সেরকম আকালি দল, আম আদমি পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও তৃণমূলের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কার্যত এক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে কিন্তু অন্যান্যদের কিছুটা লড়াই রয়েছে। অতএব লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে। আর তাই তৃণমূল কোনো বিষয়ে নোটিশ আনলে সেখানে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি কিংবা আকালির মতো দলগুলির সই পাওয়া তৃণমূলের পক্ষে অনেকটাই সহজ। অন্যদিকে আবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে কিংবা জয়রাম রমেশদের মতন নেতাদের সঙ্গেও তৃণমূলের যথেষ্ট সম্পর্ক ভালো।

সেক্ষেত্রে রাজ্যসভায় বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে রাজ্যসভায় কংগ্রেসকেও পাশে পেতে পারে। সবমিলিয়ে জানা যাচ্ছে, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে আর বেশী দেরী নেই। এবং সেখানে গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার জন্য এবার একজোটে বিরোধিতা করা হবে। গেরুয়া শিবির কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়, সে দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে বিরোধিতার ক্ষেত্রে যদি তৃণমূল নেত্রী নজর কাড়তে পারেন, সেক্ষেত্রে আগামী দিনে তাঁর জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের রাস্তা আরও চওড়া হবে বলেই দাবী রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!