এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাংসদ পদ কি খোয়াতে চলেছেন? টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শিশির!

সাংসদ পদ কি খোয়াতে চলেছেন? টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন শিশির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। পরবর্তীতে সেই শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল বিজেপির কর্মসূচিতে উপস্থিত হওয়ার কারণে তাদের দুজনের সাংসদ পদ খারিজ করার ব্যাপারে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের টিকিটে এই দুজনকে জয়লাভ করলেও তারা এখন দলবদল করেছেন। তাই তাদের সাংসদ পদ খারিজ করা উচিত, এই যুক্তি দিতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে লোকসভার অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে জবাব তলব করা হয়েছে শিশির অধিকারীর। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে জবাব দেওয়ার জন্য 30 দিন সময় চেয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সেই সময় এগিয়ে আসছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সুনীল মণ্ডল তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে তৃণমূলের সদস্য বলে দাবি করায় তিনি কিছুটা হলেও বিতর্ক থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু শিশির অধিকারী কি করবেন, কি জানাবেন তিনি লোকসভার অধ্যক্ষকে, এখন তা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে দেখা গেল কাথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় শান্তিকুঞ্জের বড়কর্তা শিশির অধিকারীকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়ে দেন। এদিন এই প্রসঙ্গে শিশিরবাবু বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সময় এলে সব জানাব। আমি এখনও কিছু ভাবিনি। শরীরটা ভাল নেই। ভালো হলে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে আছি। লোকজন দেখা করতে আসছে। সাধ্যমত মানুষের জন্য কাজ করছি। তবে অসুস্থতার জন্য বাইরে বেরোচ্ছি না।” আর এখানেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, শিশির অধিকারী এক্ষেত্রে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না। বুঝেশুনেই ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে তিনি সমস্ত ছেড়ে দিতে চাইছেন। আর সেই কারণেই এখন প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দীর্ঘদিনের তৃণমূল সাংসদ এই শিশির অধিকারী। কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর দেখানো পথেই বিজেপির কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যায় তাকে। এমনকি বিজেপির হয়ে বক্তব্যও রাখেন তিনি। তবে তারপর তার দলবলকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার সাংসদ পদ খারিজের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও বা বিজেপির একাংশ বলতে থাকেন, শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এমন কোনো নজির নেই।

আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো খামতি রাখা হয় না। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীকে জব্দ করতে লোকসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস। অবশেষে অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে শিশির অধিকারীর বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। যার জন্য 30 দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। আর এবার সেই নির্ধারিত সময় এগিয়ে আসার ফলে শিশির অধিকারী কি করবেন, কি জবাব দেবেন, তা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অবশ্য এখনও এই ব্যাপারে তিনি কিছুই ভাবেননি বলে জানিয়ে দিলেন শিশিরবাবু। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!