সংসদকে সচল রাখতে আলোচনার ব্যবস্থা, বিরোধী নেতাকে স্বাগত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর! জাতীয় বিজেপি রাজনীতি August 3, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সংসদের দুই কক্ষে অধিবেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। বিরোধীদের হই হট্টগোল এবং নানা ইস্যুতে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে লোকসভা এবং রাজ্যসভা। তাই এই পরিস্থিতিতে সংসদকে সচল রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উদ্যত কেন্দ্রের শাসক দল। তবে বিরোধীরা কোনোমতেই নরম মনোভাব দেখাতে নারাজ। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার কংগ্রেসের বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, বিরোধী পক্ষ যাতে সুর নরম করে এবং সংসদের সমস্ত অধিবেশন যাতে সচল থাকে, তার জন্যই এই বিরোধী নেতাকে ফোন করেছিলেন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে কী কারণে তার এই ফোন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং ফোন করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। একাংশ বলছেন, পেগাসাস থেকে শুরু করে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা জোট বাধতে শুরু করেছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে তৃণমূল, সংসদের ভেতরে থাকা বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রতিনিয়ত সংসদে নিজেদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন। যার জেরে মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিবেশন। তাই এই পরিস্থিতিতে অধিবেশনকে সচল রাখতে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে যে বিরোধীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝতে পেরেছে শাসক পক্ষ। আর সেই কারণেই হেভিওয়েট এই বিরোধী নেতাকে ফোন বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশের মতে, 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। দিল্লিতে গিয়ে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করে গেরুয়া শিবিরের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে বিভিন্ন দল। তবে বিরোধী মহাজোট সরকারিভাবে গঠন না হলেও, বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের মতো করে এককাট্টা হয়ে সংসদে বিজেপির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। যার জেরে সংসদের অচলাবস্থা কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য রীতিমতো মরিয়া ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বভাবতই বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন নতুন আঙ্গিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও চেপে ধরার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরোধী নেতাকে এই ফোন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -