এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > শনির প্রকোপে জীবন হয়ে যাচ্ছে ছারখার? পাচ্ছেন না কোনো দিশা? সহজেই শনির রোষ এড়াবেন কি ভাবে?

শনির প্রকোপে জীবন হয়ে যাচ্ছে ছারখার? পাচ্ছেন না কোনো দিশা? সহজেই শনির রোষ এড়াবেন কি ভাবে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শনি হল নবগ্রহের একটি অন্যতম গ্রহ, এই গ্রহকে গ্রহরাজ-ও বলা হয়ে থাকে। শনি হিন্দুধর্ম মতে একজন দেবতা হিসেবে পূজিত। শনি উগ্র দেবতা হিসেবেও পরিচিত হন। জ্যোতিষীবিদদের মতে বলা যায়, শনির দৃষ্টির ফলে যে ভালো কাজ করে তার ভালো হয় আর সে মন্দ কাজ করে তাদের সেরূপ শাস্তি হয়। সপ্তাহের শনিবার দিনটি শনিদেবের নামে নামকরণ করা হয়। তবে কে তিনি? পুরাণ অনুসারে জানা যায়, তিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র। তাই তাঁকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা। যমদেব বা ধর্মরাজ ও পবিত্র শ্রী যমুনা দেবীর তিনি অনুজ ভ্রাতা হিসেবেই পরিচিত।

মধ্যযুগীয় গ্রন্থ অনুসারে, শনি হলেন একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্য এবং অশুভ কিছুর বাহক। কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয় বলেই মনে করা হয়। তিনি ভালোর জন্য ভালো করেন আর খারাপের জন্য খারাপ করেন বলেই জানা যায়। তিনি খুবই ধৈর্যশীল। পুরাণ মতে জানা যায়, কর্মফল প্রদানে তিনি অনেকের রোষানলে পড়লেও কখনোই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। তবে শনির সাড়ে সাতির কথাও জানা যায়। সেক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে যে, সেই সাড়ে সাত বছর মানুষের জীবন চরম দুর্দশা হয়। তাই তার থেকে বাঁচার জন্য মানুষ নানা উপায় খুঁজে বেড়ান। তবে কিভাবে শনির রোষানল থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, তা জেনে নেওয়া দরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হিন্দু মতে, প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পূজার্চনা করাই বিধান। তাই সাধারণত শনিদেবের মন্দিরে অথবা গৃহের বাইরে খোলা জায়গায় শনিদেবের পূজা হয়। নীল বা কৃষ্ণ বর্ণের ঘট, নীল ফুল, নীলবস্ত্র, লৌহ, ভেজানো মাষকলাই , কালো তিল, দুধ, গঙ্গাজল, সরষের তেল প্রভৃতি শনিদেবের পূজার জন্য প্রয়োজন হয়। এছাড়া নির্জলা উপবাস বা একাহারে থেকে এই ব্রত পালন করতে হয়। পূজা কালীন “ওঁ শং শনৈশ্চরায় নমঃ” এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়। এছাড়া পূজা শেষে অঞ্জলি মন্ত্র হিসেবে “ওঁ সূর্যপুত্রায় বিদ্মহে মৃতুরূপায় ধীমহি তন্নোঃ সৌরিঃ প্রচোদয়াৎ” এই মন্ত্র পাঠ করা হয়। এছাড়া প্রণাম মন্ত্র হিসেবে “ওঁ নীলাঞ্জনচয়প্রখ্যং রবিসূতং মহাগ্রহম্। ছায়ায়া গর্ভসম্ভূতং ত্বং নমামি শনৈশ্চরম্।।” এই মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়ে থাকে।

তবে এছাড়া, শনিবার করে স্বাত্তিক আহার করতে পারেন। কাক যেহেতু শনি দেবতার বাহন, তাই শনিবার করে কাককেও খাওয়াতে পারেন। শনিদেবতার পূজায় নীল রঙের ফুল ব্যবহার করতে পারেন। পুজোর সামগ্রীতে তিল বা অরহর ডাল রাখতে পারেন। অথবা নিজের সঙ্গে করে লোহা বা লোহার সামগ্রী রাখতে পারেন। মনে করা হয়, এই বিধি গুলি পালন করলেও অনেক ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেলেও যেতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!