এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সম্মেলনে ফের অনুপস্থিত তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা যুব নেতারা , বাড়ছে জল্পনা !

সম্মেলনে ফের অনুপস্থিত তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা যুব নেতারা , বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার দলের নেতাকর্মী তথা সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলবার নির্দেশ দিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ভোটকুশলী পিকেও। কিন্তু, এত করেও স্থানে স্থানে প্রকাশ্যে চলে আসছে শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। প্রসঙ্গত, হুগলি জেলায় একাধিকবার দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সম্প্রতি ডানকুনিতে একটি কর্মী সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার।

এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। কিন্তু সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকলেন ডানকুনি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি ও সেইসঙ্গে ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন ডানকুনি পুরসভার বেশ কিছু বিদায়ী কাউন্সিলর। যা থেকে আবার জল্পনা বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তরপাড়ায় শাসকদল তৃণমূলের এক কর্মীসম্মেলনে তৃণমূল দলের বেশ কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। দল থেকে করে খাওয়া এই নেতাদের তিনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করে দেবার কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে উত্তর পাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। দলে তিনি দিলীপ- বিরোধী হিসেবে পরিচিত।

আবার, ডানকুনি শহরের যুব তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্যাপক বিরোধ রয়েছে বিধায়ক স্বাতী খোন্দকারের। এই বিরোধের কারণে গত মঙ্গলবার ডানকুনির খেলার মাঠ সংলগ্ন ভবনে বিধায়কের ডাকা কর্মী সম্মেলন এড়িয়ে গেলেন তিনি ও বেশ কিছু বিদায়ী কাউন্সিলর। এমনটাই তৃণমূল দলের একাংশ মনে করছেন। তবে সম্মেলনে দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, সে বিষয়ে তেমন কোনো বক্তব্য রাখেন নি বিধায়ক। দলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টিও নস্যাৎ করেছেন তিনি। তাঁর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি এটাই জানিয়েছেন, ” আমি কিছু বলব না। যা বলার দলের জেলা সভাপতি বলবেন।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কর্মী সম্মেলনে তাঁর উপস্থিত না থাকা সম্পর্কে দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” কর্মী সম্মেলন সম্পর্কে আগাম কিছু আমাকে জানানো হয়নি। ১০টি চিঠি আমাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিঠিগুলি কাদের দিতে হবে, কোথায় অনুষ্ঠান, কিছুই নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।’’বিধায়ক স্বাতী খোন্দকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ নিয়ে কোন বক্তব্য রাখেন নি তিনি। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে, কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলর বিধায়ককে ভুল বুঝিয়ে লবি তৈরির চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে গত মঙ্গলবারের সম্মেলনে দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানালেন, ” তৃণমূলের সকলেই দলের কর্মী। ৫০০ জন কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। পাঁচ জন আসেননি। আমাদের মনে রাখা উচিত, আমরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।’’ ইতিপূর্বে কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা গেছিল। এবার গোষ্ঠীকোন্দলের পটভূমি হুগলি।যা নিয়ে খুব বিব্রত দল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে গতকাল বুধবার হুগলির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!