এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংস্কৃত শিক্ষা আবশ্যিক হতে চলেছে? জাতীয় June 23, 2018 একটি বড় ধরণের পরিবর্তন আসতে চলেছে বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে। ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডল(বিএসএম) এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি সংস্কৃত ভাষাচর্চাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানালো। আরএসএসের এই শাখা সংগঠন নতুন শিক্ষানীতিতে উচ্চ বিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষাচর্চা বাধ্যতামূলক করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়ে কমিটির কাছে আবেদন জানালো। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তবে তাদের দাবিকৃত শুধু সংস্কৃত ভাষাই নয় সেখানে রয়েছে বিশ্বের সমস্ত ধ্রুপদী ভাষা যথাক্রমে আরবি, ফার্সি, হিব্রু, লাতিন ও গ্রীক। শিক্ষার্থীরা এই তালিকা থেকে তাদের পছন্দ মত একটি ভাষাকে শিক্ষালাভের জন্য বেছে নিতে পারবে । প্রসঙ্গতঃ ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডলের তরফে একটি শিক্ষানীতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী অবধি এই চার বছর বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই হিন্দি ও ইংরেজী ছাড়াও অন্য কোনও ভাষা কে বেছে নিতে হবে শিক্ষালাভের জন্যে। সেটা সংস্কৃত বা অন্য যে কোনো ভাষা। কিন্তু ঐ চার বছর শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ভাবেই কোনো একটি ধ্রুপদী ভাষাচর্চা করতে হবে নিশ্চিত। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে যে শিক্ষা নীতি চালু আছে তা হল বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের তিনটি ভাষায় জ্ঞান অর্জন করতেই হবে। সেইমতো হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে হিন্দি ও ইংরেজি ছাড়াও আরও একটি ভাষা শিখতে হয়। এবং অহিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে স্থানীয় ভাষা ও ইংরেজি শিখতে হয়। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত দু বছর এই নীতি কার্যকর থাকে। তারপর নবম শ্রেণী থেকে দুটি ভাষা নীতি কার্যকর হয়। সেক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে শিক্ষার্থীরা হিন্দি বা সংস্কৃত বা অন্য কোন ভাষা বেছে নিতে পারে। ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডলের এক কর্তার মতে , নবম শ্রেণীর পর হিন্দি শেখা বাধ্যতামূলক নয়। উচ্চ বিদ্যালয়ে যে কোনও দুটি ভাষায় জ্ঞান অর্জন করতে হয়। কিন্তু সংগঠনের দাবি অনুসারে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাতৃভাষা এবং একটি ধ্রুপদী ভাষাচর্চা বাধ্যতামূলক করা হোক। তবে এটা প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডল সংস্কৃতকে বাধ্যতামূলক করার দাবিতে সুর চড়িয়েছিলেন। আপনার মতামত জানান -