এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সাংসদরা বিধায়ক হওয়ায় নতুন আতান্তরে বিজেপি? তৃণমূলের কাছে নতুন করে বেইজ্জতের ভয়ে উড়ছে ঘুম?

সাংসদরা বিধায়ক হওয়ায় নতুন আতান্তরে বিজেপি? তৃণমূলের কাছে নতুন করে বেইজ্জতের ভয়ে উড়ছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল। এ কারণে বেশ কিছু সাংসদকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছিল। দলের চিন্তা-ভাবনা ছিল, বাংলা দখলের পর তাঁদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হবে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। এবার নির্বাচনে জয়লাভ করা বিজেপি সাংসদরা বিধায়ক হবেন? নাকি সাংসদ পদে বহাল থাকবেন? তা নিয়েই দোটানায় পড়েছে বিজেপি। সাংসদ পদ যদি তাঁরা ছেড়ে দেন, সেক্ষেত্রে পুনর্নির্বাচন হবে, পুনর্নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে মোকাবিলা করা সহজসাধ্য হবে না। এদিকে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেও হবে পুনর্নির্বাচন, সেখানেও আসন ধরে রাখা শক্ত হয়ে দাঁড়াবে। এই সবকিছু নিয়েই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী করা হয়েছিল। নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন। কিন্তু গত শুক্রবার বিধায়কদের শপথ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন না তিনি। কাজেই তিনি বিধায়ক হবেন? না সাংসদ থাকবেন? সেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন সকলে। আবার কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিককে দিনহাটা থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তিনিও জয়ী হয়েছেন। কিন্তু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে নিয়েও শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন যে, কোমরে ব্যথা থাকার কারণে কলকাতায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। কিন্তু সেদিন ফুলিয়ায় জনৈক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি তাই মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, সাংসদ পদ রেখে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলে উপ নির্বাচন করা হবে শান্তিপুরে। কিন্তু, সেখানে আদৌ বিজেপির সাফল্য আসবে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক কে নিয়েও। দিনহাটা থেকে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন ও জয়ী হয়েছেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে দল এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর জন্য ১৮০ দিন সময় এখনও রয়েছে। সঠিক সময়ে দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তৃণমূলের দাবি, দুটির মধ্যে একটি পদ বিজেপিকে ছাড়তেই হবে। আর উপনির্বাচন হলে তৃণমূল জয়লাভ করবে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেখানেই উপনির্বাচন হোক, জয়লাভ করবে বিজেপি।

বিজেপির এই দুই সাংসদকে নিয়ে বড় রকম অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনে আশানুরূপ ফল লাভ না হওয়ার পর থেকে যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচনে বিজেপি’র জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে বলেই, মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তৃণমূলের কাছে আবার সম্মান হারাবার ভয় দেখতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা হোক কিংবা লোকসভা, উপ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!