এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সারা বছর ঘুরেফিরে আসবে করোনা? সহজে মুক্তি নেই অতিমারীর হাত থেকে? বিস্ফোরক দাবি বিজ্ঞানীদের

সারা বছর ঘুরেফিরে আসবে করোনা? সহজে মুক্তি নেই অতিমারীর হাত থেকে? বিস্ফোরক দাবি বিজ্ঞানীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চারিদিকে শোনা যাচ্ছে নানা মুনির নানা মত। তবে কি করলে আসলে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। একসময় বলা হয়েছিল যে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে জোরদার করতে পারলেই বাগে আনা সম্ভব হবে করোনা ভাইরাসকে। তবে বর্তমানে একটি রিচার্জ রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ইমিউনিটি তৈরি করলেই হবে না, সেখানে চাই হার্ড ইমিউনিটি। যার মাধ্যমে লড়াই করা যাবে করোনাভাইরাসের সঙ্গে। তবে এখানে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে হার্ড ইমিউনিটি কি?

হার্ড ইমিউনিটি বা ভেষজ অনাক্রম্যতা সাধারণত কোন রোগের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বোঝানো হয় বলে মনে করা হয়। ১৯৩০ সালে এই শব্দটি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় হামেরি মহামারী নিয়ে গবেষণা করার সময় প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে এই অনাক্রম্যতাকে স্বীকার করেছিলেন। সেক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে অস্থায়ীভাবে সংক্রমনের হ্রাস ঘটায় তিনি এই কথা বলেছিলেন বলে জানা যায়। তবে হার্ড ইমিউনিটি সাধারণত সংক্রামক রোগ থেকে পরোক্ষভাবে সুরক্ষার একপ্রকার পদ্ধতি, যেখানে কোনো জনসংখ্যার পর্যাপ্ত শতাংশ সংক্রমিত হলে, ভ্যাকসিন ছাড়াই অন্যান্য ব্যক্তিদের সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। ফলে সংক্রমণ থেকে সেরে যাওয়া বা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি মানুষেরা প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করলেও এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত ছিল বলে জানা যায়। হারপের অনাক্রম্যতা কেবলমাত্র সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কারণ এটি একজনের থেকে অন্যজনকে সংক্রমিত করতে পারে বলেই দেখা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এখানে প্রশ্ন আসছে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই হার্ড ইমিউনিটির সম্পর্ক কোথায়? এখানে বলা যায়, করোনা ভাইরাস একটি সংক্রামক রোগ হিসেবেই পরিচিত। অন্যদিকে বর্তমানে যেভাবে লিস্টেড বা অানলিস্টেড করোনা সংক্রমিত হার দেখা যাচ্ছে বা অনুমান করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে দেশের প্রায় ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষই ভবিষ্যতে এই রোগে আক্রান্ত হবেন বলে অনুমান করা যাচ্ছে। ফলত করোনা ভাইরাসের টিকা ছাড়াই হয়তো ভবিষ্যতে এই ভাইরাস সাধারণ ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই কাজ করবে বলেই মনে করছে সম্প্রতি গবেষণা। যেখানে বর্তমানে ভাইরাল ফিভারের ক্ষেত্রেও বা ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অল্পদিনের মধ্যেই মানুষ সুস্থ হয়ে যায়, তেমনভাবেই করোনায় মানুষ নিজে থেকেই সুস্থ হয়ে যাবে, এতটা ভয়ঙ্করভাবে তার প্রভাব থাকবে না বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এভাবেই মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে আন্টিবডি তৈরি হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে যেখানে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল সেখানে সংক্রমণের মাত্রা বেশি থাকলেও মানুষের শরীরে সেইসঙ্গে অ্যান্টিবডি তৈরির হারও বেশি হচ্ছে। ফলে গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনা পরিস্থিতির প্রভাব বর্তমানে মারাত্মক হলেও ধীরে ধীরে মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। ফলে মানুষ সহজেই সেরে উঠতে পারবেন। অন্যদিকে ভাইরাসটির যতবেশি মিউটেশন হবে ততবেশি সে তার ক্ষমতা হারাবে বলেও জানা যায় বিজ্ঞানের তরফে। সুতরাং ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেও মানুষের যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটা আলাদা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে পারে সেই ধারণাও অস্বীকার করা যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!