এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সরদার ফাঁড়া কাটাতে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ জেনে নিন বিস্তারিত

সরদার ফাঁড়া কাটাতে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ জেনে নিন বিস্তারিত

সারদা চিটফান্ড কান্ড বাংলার অন্যতম একটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি আর সেই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর। বলা বাহুল্য তারা প্রায় প্রত্যেকেই শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত।

এদিকে জনসাধারণের টাকা ফেরতের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি ইতিমধ্যেই তাদের তদন্ত শুরু করেছে। নোটিশ পাঠানো হয়েছে একের পর এক হেভি নেতা-নেত্রীদের। সিবিআই দপ্তর কিংবা ইডি দপ্তরে ইতিমধ্যে হাজিরা দিয়েছেন অনেকেই। এখানেই শেষ নয় তৃণমূলের ইতিমধ্যেই তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ তাপস পাল, কুনাল ঘোষ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী মদন মিত্র অনেকদিন এই কারণে জেলেও ছিলেন। যদিও বর্তমানে তারা প্রত্যেকেই জামিনে মুক্ত।

লোকসভা ভোটের আগে তদন্ত কিছুটা থমকে গেলেও লোকসভা ভোট মিটতেই সারদা কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সি আই ডি জোরতার দিয়ে তদন্তের কিনারা করতে লেগে পরেছে আর এই নিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতা মন্ত্রী-সাংসদকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু ঠিক তেমনি অন্যান্যদের মত বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু শতাব্দী রায় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী যেভাবে সারদার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনিও সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে যে টাকা পেয়েছিলেন তা ফিরিয়ে দেবেন। আর সেই কথা মতোই বুধবার সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এর কাছ থেকে 29 লক্ষ টাকা নিয়ে যে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছিলেন সেই সমস্ত টাকা এদিন এনফর্সমেন্ট ডিরোক্টোরের কাছে পৌঁছে দেন।

জানা যাচ্ছে তিনি প্রায় 30 লক্ষ 64 হাজার টাকা ড্রাফটের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন।এদিন টাকা ফেরতের পর শতাব্দী রায় দাবি করেন বারবার তাকে ডেকে যেভাবে হেনস্থা করছিল তার সময় নষ্ট করছিল তা থেকে মুক্তি পেতেই জীবনে শান্তি আনতে তিনি টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর। এই কারনেই তিনি পুরো টাকাটা ইডি দপ্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। সাথেই তিনি দাবি করেন যে তিনি টাকাটা নিয়েছেন রাজনীতির মানুষ হিসেবে নয় ,সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আর। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়েছিলেন রাজনীতি জগতের মানুষ হিসেবে নয় তিনি একজন শিল্পী আর শিল্পী হিসেবেই সারদার সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত সংসদে নয় চিটফান্ড বিল পাশ হয়ে গেছে যে বিল ডাইনি পরিণত হলে চিটফান্ডের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি নিলাম করে চিটফান্ডের প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানা গেছে আর এই আইন অনুযায়ী মামলার তদন্তের স্বার্থে রাজ্যের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন পড়বেনা সিবিআই তদন্ত সংস্থার আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা অন্যদিকে এ দিনের শতাব্দী রায়ের টাকা ফেরত দেওয়ার পর তার কাছ থেকে সারদার ফাঁড়া কাটল, না কাটল না তা নিয়েও ধন্দে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!