এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সারদা সমেত অন্য চিটফান্ড কান্ড নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই,জেনে নিন বিস্তারিত

সারদা সমেত অন্য চিটফান্ড কান্ড নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই,জেনে নিন বিস্তারিত

বহুদিনের চর্চিত সারদা সমেত অন্য চিটফান্ড কেলেঙ্কারির রহস্যভেদ করতে এবার নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই। বিশেষ করে ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সুদীপ্ত সেন,গৌতম কুন্ডু সহ অন্যান্য চিটফান্ড কর্তাদের ওই রাজ্যে নিয়ে নিয়ে জেরা করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রয়েছে সিবিআই।

কারণ সুদীপ্ত সেন,গৌতম কুন্ডুরা এই মুহূর্তে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় বিশেষভাবে অভিযুক্ত হিসাবে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের কাছ থেকে ঝাড়খন্ড সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই সব নথি সিবিআই দপ্তরে যেতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম কয়েকদিন আগে কোলকাতায় এসে পৌছায়। বৈঠকে বসে সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

চিটফান্ড কর্তাদের জেরা করে যেসব তথ্য উঠে এসেছে তার কপি হাতে আসে সিবিআই কর্তাদের। সেসব তথ্য অনুযায়ী ঝাড়খন্ডে চিটফান্ড সংস্থাগুলো যেসব জায়গায় অফিস খুলেছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তার ভিত্তিতেই সুদীপ্ত সেন,গৌতম কুন্ডু সহ অন্যান্য চিটফান্ড কর্তাদের ঝাড়খন্ডে নিয়ে গিয়ে জেরা করার তোড়জোড় শুরু করেছে সিবিআই।

বাংলায় বসে কীভাবে ঝাড়খন্ড থেকে টাকা তুলেছে তারা,বিভিন্ন চিটফান্ড কোম্পানিগুলো কত টাকা জালিয়াতি করেছে,এই চিটফান্ড কান্ডের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসূত্র আছে কিনা এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব পেতেই চিটফান্ড কর্তাদের ঝাড়খন্ডে এনে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসঙ্গত,গত কয়েকবছর আগে চিটফান্ড কান্ডে আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসার পর তদন্তসূত্রে জানা যায়,বাংলার পাশাপাশি ঝাড়খন্ড,বিহার,ওড়িশাতেও চিটফান্ড কর্তাদের জালবিন্যাস রয়েছে। সারদা,নারদা,রোজভ্যালি,প্রয়াগ,আইকোর সহ একাধিক সংস্থা প্রচুর টাকা লুট করেছে। এছাড়া বেআইনিভাবেও বেশ কিছু অর্থলগ্নি সংস্থা খোলা হয়। এই সব সংস্থায় টাকা রেখে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন আমানতকারীরা। প্রতারিতদের অভিযোগের পর তদন্ত নেমে পুলিশ গ্রেফতার কর সুদীপ্ত সেন,গৌতম কুন্ডুদের।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই দুই প্রভাবশালী চিটফান্ড কর্তা গ্রেফতার হওয়ার পর হাতকলমে ব্যবসা গোটাতে থাকে এইসব সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। এরপর গোয়েন্দাদের কড়া জেরার মুখে পড়ে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। এবং এটাও স্বীকার করে যে,ঝাড়খন্ড থেকেও প্রচুর টাকা লুট করেছে তারা। এবং এ ব্যাপারে কারা কারা তাকে সাহায্য করে এবং রাজ্যনৈতিক যোগসূত্রতা কতোটা সত্যিই সেটাও পরিস্কার হয় অফিসারদের কাছে।

তবে ঝাড়খন্ডের চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের অধিকার শুধুমাত্র সেই রাজ্যের হাতেই ছিল। প্রতারিত লগ্নিকারীরা ন্যায়বিচারের দাবী জানিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে রাঁচি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত তাদের দাবীকে মান্যতা দেয়। তারপর সিবিআই কর্তারা যোগাযোগ করেন এ রাজ্যে যারা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করছেন তাদের সঙ্গে।

সেই সূত্র ধরেই সুদীপ্ত সেন,গৌতম কুন্ডুদের ঝাড়খন্ডে নিয়ে গিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই কর্তারা। তবে চিটফান্ড কর্তাদের পড়শি রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জেরার মাধ্যমে এই কেলেঙ্কারি মামলায় রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের নাম উঠে এলে তাঁদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যে জেরার জন্য ডাক পড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!