এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “সারদার টাকা কারা খেয়ে সততার প্রতীক হয়েছিল, সেটা বোঝা গেল।” – মমতাকে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস সভাপতির

“সারদার টাকা কারা খেয়ে সততার প্রতীক হয়েছিল, সেটা বোঝা গেল।” – মমতাকে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেস সভাপতির


লোকসভা ভোটের দামামা বাজার আগেই কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজিব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতার রাজপথে ধরনায় বসে পড়তে দেখা দিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চক্রান্ত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাকে হেনস্তা করছে – এই অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে মেট্রো চ্যানেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই।

একজন প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে যখন সিবিআই ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন কেন তৃণমূল নেত্রী সেই প্রশাসনিক কর্তার হয়ে ধরনায় বসেছেন তা প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন মহলকে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনায় তার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। যার জেরে রাজ্যে তৃণমূলের আদ্যপ্রান্ত বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল।

কিন্তু এবার ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর যখন সপ্তম তথা শেষ দফার দিকে এগোচ্ছে ভারত, ঠিক তখনই শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে, রাজীব কুমারকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে পারবে। তবে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ব্যাপারে জামিনের আবেদন করতে পারবেন সেই রাজীব কুমার। আর এরই মাঝে এবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “আশা করি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এবার সব সত্যি প্রকাশ পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত স্বার্থ যদি না থাকত তাহলে সেদিন তিনি তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ছুটতেন না এবং রাস্তায় বসে পড়তেন না। রাজীব কুমারকে দিয়ে তিনিই যে সারদার নথি লোপাট করেছেন এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। এবার বোঝা গেল যে সারদার টাকা কারা খেয়ে সততার প্রতীক হয়েছিল।”

কিন্তু এক সময় এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজীব কুমারের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছিলেন, ঠিক তখনই তো তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “রাহুল গান্ধী তো এটা বলেননি যে সাধারণ মানুষের টাকা যারা খেয়েছে, তাদের বাড়িতে সিবিআই যেতে পারবে না! তিনি মোদি সরকার যেভাবে রাজ্য সরকারগুলো অপদস্ত করছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।”

অন্যদিকে এদিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী সুস্মিতা দেব রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এসে শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর তৃণমূল নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে যেভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তার পাল্টা মুখ খুলেছে তৃণমূল।

তাদের দাবি, আসলে বাংলায় কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিএম একই মুদ্রার এপিঠ ও ওপিঠ। তাইতো তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার করতে তারা তিন দলই এক হয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু এসব করে কিছুই হবে না। আগামী 23 মে ভোট বাক্সে জোড়াফুলই ফুটবে বলে দাবী তৃণমূলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!