প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সামনেই রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হলো উত্তর প্রদেশ। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির শক্তিশালী গড় বলে পরিচিত হলেও করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলে দেওয়া, দলিত ও নারী নির্যাতন কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে, আর সতেজ হয়ে উঠছে বিরোধী শিবির। উত্তরপ্রদেশের হারানো জমি ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট কংগ্রেস। তৃণমূলের দেখানো পথেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বধের প্রস্তুতি নিল কংগ্রেস।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মহিলাদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিল তৃণমূল। ৫০ টি আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। বাংলার গর্ব মমতা, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়- এই ধরনের প্রচার করে মহিলাদের মন জয় করার বিশেষ চেষ্টা করা হয়েছিল। তার তার ফল হাতে হাতে পেয়েছিল তৃণমূল। অভূতপূর্ব জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য শাসন ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের পথেই এবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বধের পরিকল্পনা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিধানসভা নির্বাচনে ৪০% মহিলা প্রার্থী দেবার ঘোষণা করেছেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের ৪০% আসনে মহিলা প্রার্থীরা লড়াই করবেন। উত্তরপ্রদেশের সাধারণ গৃহবধূদের কাছেও ভোটের জন্য আবেদন জানাবে কংগ্রেস। সাধারণত উত্তরপ্রদেশে জাতপাতের নিরিখেই নির্বাচন হয়ে থাকে। তবে, এবারে জাতপাতের ইস্যুকে দূরে রেখে মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানিয়েছেন, মহিলারা পরিবর্তন আনতে পারেন। তাদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন। এই সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের সেই মেয়েদের জন্য, যে মহিলারা পরিবর্তন চান। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এখন যথেষ্ট কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে গাঝাড়া দিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল এখন থেকেই স্পষ্ট করে দিতে চান তিনি।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, উত্তর প্রদেশে জাতপাতের নিরিখে ভোটকে পেছনে রেখে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে নতুন রণকৌশল স্থির করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই নীতির ফলে ভোটে অনেকটাই সুবিধা করতে পারবে কংগ্রেস, এমন দাবি করেছেন অনেকে। আর কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বিজেপির কাছে, এমনটাও মনে করছেন অনেকে। এভাবে তৃণমূলের দেখানো পথেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বধের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস।