এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > সর্বনাশ! সামনের বছর তো দূর অস্ত, ২০২৪ পর্যন্তও সবার জন্য পর্যাপ্ত করোনা টিকা মিলবে না?

সর্বনাশ! সামনের বছর তো দূর অস্ত, ২০২৪ পর্যন্তও সবার জন্য পর্যাপ্ত করোনা টিকা মিলবে না?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়ানো মাত্রই তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য শুরু হয়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের লড়াই। প্রায় সমস্ত দেশই এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই সমস্ত বিতর্ককে সরিয়ে রেখে ঘোষণা করেছে, তাঁরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছে। যদিও সেই প্রতিষেধক বিশ্ব বাজারে আসার এই মুহূর্তে কোন আশা নেই। অন্যদিকে ভারতও পিছিয়ে নেই। দেশীয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন তৈরি চলছে।

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাধারণের হাতে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারতের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের শীর্ষকর্তা আদর পুনাওয়ালা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, 2024 পর্যন্ত সবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবেনা। আর এ কথাতেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রসঙ্গত, ভারতে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।

ভারতের বুকে ভ্যাকসিনের নাম হচ্ছে কোভিশিল্ড। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর তারপরেই সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান এধরনের ঘোষণা করার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, নতুন করোনা ভ্যাকসিন যদি দু ডোজে দিতে হয়, তাহলেও প্রয়োজন সারাবিশ্বে 15 বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন। আর সেই ডোজ প্রস্তুত করতে অন্তত চার থেকে পাঁচ বছরের সময় প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, আগামী মাসের শুরুতেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে করোনার প্রতিষেধক। আর সেই দাবি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্রিটেনে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তারপরেই ব্রিটেনে অক্সফোর্ডের তৈরি টিকার ট্রায়াল স্থগিত করে দেয় প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা। ভারতে এই প্রতিষেধকের ট্রায়াল চালু থাকবে কিনা তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

আর তার মধ্যেই খবর, ভারতের বুকে করোনার প্রতিষেধকের ট্রায়াল বন্ধ নিয়ে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। সারা বিশ্বজুড়ে করোনা মারাত্মক হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষেধক ছাড়া এই মুহুর্তে করোনার হাত থেকে মুক্তি মেলা যে সম্ভব নয়, সে কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। ভারতের বুকে করোনার প্রতিষেধক আনার জন্য দ্রুত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো জনবহুল দেশে প্রতিষেধকের প্রয়োজন বিপুল। আর সেক্ষেত্রে সময় যে লাগবেই সেকথা বলাইবাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!