এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাকে, আরও দুই নেতার কেন্দ্রীয় স্তরে অন্তর্ভুক্তি

সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাকে, আরও দুই নেতার কেন্দ্রীয় স্তরে অন্তর্ভুক্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বাংলা থেকে চারজন সাংসদের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। আর এবার বাংলার অন্যান্য বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় স্তরে তুলে আনার চেষ্টা চলছে। এই সূত্রে প্রথমবার দুটি সর্বভারতীয় পদের জন্য বাংলা থেকে বেছে নেওয়া হল নেতা। কার্যত দার্জিলিংয়ের সাংসদ শ্রী রাজু বিস্তা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন। পাশাপাশি দুবরাজপুরের বিধায়ক শ্রী অনুপ সাহাকে করা হয়েছে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। খুব স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় স্তরে বাংলা থেকে নেতা তুলে আনা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গের খারাপ ফল হলেও পাহাড়ে কিন্তু যথেষ্ট ভালো ফল করেছে বিজেপি। আর সে কারণেই দার্জিলিংয়ের সাংসদ পুরস্কৃত হলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আবার কানাঘুষো অন্য কথাও শোনা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, দার্জিলিংয়ের রাজু বিস্তা কিংবা দুবরাজপুরের অনুপ সাহাকে গুরুত্ব দেওয়ার পেছনে কিন্তু অন্যতম কারণ সৌমিত্র খাঁ। বিগত কয়েক দিন যাবত রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন। যা গেরুয়া শিবির মোটেই ভালো চোখে দেখছেনা। আর তাই হয়ত বাংলা থেকে বিকল্প নেতা তৈরি করার চেষ্টা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত মনে করা হচ্ছে, বরাবরই বিজেপির যুব মোর্চার শাখা সর্বভারতীয় স্তরে কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। এর আগে 1980-1982 সাল পর্যন্ত যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন শ্রী বিদ্যুৎ দত্ত। 1982-1984 পর্যন্ত যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন উৎপলকান্তি চক্রবর্তী। 1990-1993 সাল পর্যন্ত সর্বভারতীয় সম্পাদক এবং তারপর 1993-1995 পর্যন্ত সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে ছিলেন শ্রী তাপস চ্যাটার্জ্জী। সাম্প্রতিককালে রাজকমল পাঠক সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন 1998-2000 সাল পর্যন্ত।

পাশাপাশি সায়ন্তন বসুকেও সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে দেখা যায় 2010-2015 সাল পর্যন্ত। এরপর শ্রী সৌরভ সিকদার সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে ছিলেন 2016-2021 পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পেছনে রাজ্যের যুব বিজেপি শিবির সেভাবে কাজ করতে পারেনি। আর এবার সেদিকেই বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আপাতত নতুন নেতাদের মুখ করে গেরুয়া শিবির বাংলার মানুষের মন জয় করতে কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!