প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি যে ঘটনা দেশের বিভিন্ন মহলকে একেবারে উত্তাল করে দিয়েছে, তাহল শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের মাদকচক্রতে জড়িয়ে পড়া। গত ৩ রা অক্টোবর মুম্বাইয়ের এক প্রমোদতরী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরিয়ান খানকে। এরপর এই মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে এলো কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি মহলে আর অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির।

মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্পোজ জানিয়েছেন যে, এই মাদকচক্রের মূল হলেন সুনীল নামের এক ব্যক্তি। যিনি মহারাষ্ট্রের শাসকজোটের অন্যতম শরিক এনসিপির ঘনিষ্ঠ। তিনি জানিয়েছেন, নিরাজ যাদব নামে এক ব্যক্তি আরিয়ান কাণ্ডের খবর ফাঁস করে দিয়েছিলেন। এই নীরব যাদব বিজেপির শীর্ষ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

এদিকে গত ৩ রা অক্টোবর আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তারের সময় প্রমোদতরীতে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল বেসরকারি গোয়েন্দা কিরণ গোসাভি ও বিজেপি কর্মী মণীশ ভানুশালিকে। এই মণীশ ভানুশালিও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এ প্রসঙ্গে সুনীল জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই। কিরণ গোসাভিকে তিনি চেনেন না। তবে মণীশ ভানুশালিকে তিনি চেনেন।

তাঁকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মণীশ ভানুশালির সঙ্গে শ্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির সাক্ষাত করিয়ে দেওয়া। তিনি সেটুকু কাজই করেছিলেন। বাকি কাজ মনীশ ভানুশালি, কিরণ গোসাভি করেছেন। আর শ্যাম ডি’সুজা এই কাণ্ডের অন্যতম মূল চক্রী। শ্যাম ডি’সুজার সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দেবার পর মনীশ ভানুশালি তাকে একটি হোটেলে বন্দী করে রেখেছিলেন। সেখানে তাকে প্রচণ্ড মারধোর করা হয়েছিল ও একের পর এক হুমকি দেয়া হয়েছিল।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই যথেষ্ট রকমের বিপাকে পড়েছে বিজেপি, এমনটাই রাজনৈতিক মহলের দাবি। প্রসঙ্গত, বিজেপির শীর্ষনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে একেরপর এক অভিযোগ রয়েছে। একাধিক কেলেঙ্কারিতে তার নাম জড়িয়ে গেছে। এবার মাদক কাণ্ডে তাঁর ঘনিষ্ঠের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আরো বড় রকম বিপাকে পড়েতে চলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।