সর্বনাশ! গ্যাসের কাস্টমার কেয়ার সেজে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে হাজির নতুন গ্যাং কলকাতা রাজ্য October 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমনের সময় থেকেই একের পর এক প্রতারক চক্র সক্রিয় উঠেছে। কিছুদিন আগেই সস্তায় মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ দেবার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেবার কাজ শুরু করেছিল বেশকিছু প্রতারক সংস্থা। এদিকে এটিএম কার্ডের নাম করে প্রতারণা বহুদিনের পুরনো একটি ব্যাপার। সম্প্রতি গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং, বিদ্যুতের বিল, রেশন কার্ড, গাড়ির লাইসেন্স, জীবনবীমা ইত্যাদির পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছে বলে, কৌশলে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একাধিক প্রতারক। পুলিশের কাছে খবর এসেছে যে, কলকাতা ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের নাম করে ফোন করে বেশ কয়েক জনের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কিছু প্রতারক। গ্রাহকদের ফোন করে বলা হচ্ছে, কেওয়াইসি অনলাইন আপডেট না করালে গ্যাসের বুকিং ও ভর্তুকির টাকা বন্ধ করে দেয়া হবে। গ্রাহকদের কিছুটা চাপ দিয়েই তাদের ডেবিট কার্ডের ডিটেইলস জেনে নিচ্ছে প্রতারকেরা। তারপর হাতিয়ে দিচ্ছে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা। তবে, ইন্ডিয়ান অয়েল ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গ্রাহকদের অনলাইন আপডেট করার বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে কোন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। সবটাই ঠকের কাজ। বেশ কিছুদিন ধরেই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রাহকদের ফোন করতে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু প্রতারককে। গ্রাহকদের কনজিউমার নম্বর বলে তাঁর বিশ্বাস অর্জন করেছে। তারপর বলা হচ্ছে, তাঁদের কেওয়াইসি অনলাইন আপডেট করতে। জানতে চাইছে, গ্যাস কোম্পানি থেকে এটিএম কার্ডের মধ্যে কোন কোন কিছু তাদের দেয়া হয়েছে কিনা? এরপর প্রতারকেরা প্রশ্ন করছে, গত মাসে তাঁরা ৬৩৪ টাকা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়েছেন কিনা? এবারে কৌশল করে জেনে নিচ্ছে যে, কোন ব্যাংকে গ্যাসের ভর্তুকি জমা পড়ছে গ্রাহকদের। ব্যাংকের নাম জেনে নেয়ার পর তারা প্রশ্ন করছে, যে একাউন্টে ভর্তুকির সেই টাকা জমা পড়ে তার ডেবিট কার্ড আছে কিনা? এরপর গ্রাহকদের বলা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং এর বই, এটিএম কার্ড নিয়ে আসতে। কোন গ্রাহক যদি বলেছেন যে, হাতের সামনে গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং এর বই নেই। তখন, তাঁকে বলা হচ্ছে যে, শুধু এটিএম কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসতে। এরপর কৌশলে এটিএম ডিটেলস জেনে তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকেরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কলকাতা পুলিশের কাছে জমা পড়া এক ভয়েস রেকর্ডিংয় থেকে জানা যাচ্ছে যে, একজন গ্রাহক বলছেন যে, তিনি অফিসে আছেন তাই তার কাছে কার্ড, বই কিছুই নেই। তিনি শনিবার ও রবিবার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে গিয়ে এসব জমা দিয়ে আসবেন। তখন ফোন করে ধমকের সুরে প্রতারকেরা বলছে, তবে এখন থেকে অনলাইনে গ্যাস বুকিং কেটে দেয়া হবে তাঁরা। হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এরপর ৫ হাজার টাকা খরচ করে আবার নতুন করে গ্যাস কানেকশন নিতে হবে। যে কথা শুনে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। অভিযোগ উঠেছে গ্রাহকদের ভয় দেখিয়ে এটিএম নাম্বার, পিন নাম্বার জেনে নিচ্ছে প্রতারকেরা। কিন্তু কোনো গ্রাহকের কনজিউমার নম্বর, ফোন নম্বর কিভাবে প্রতারকের হাতে এল? পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কিছু গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে তারা এই নাম্বারগুলি জোগাড় করে নিয়েছে। এবার কোন গ্রাহকদেরকে কনজিউমার নম্বর ও বিলের তারিখ বলে তাঁর বিশ্বাস অর্জন করে, বিভিন্ন রকম বিভিন্ন কৌশলে তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকেরা। আরও আশংকার ব্যাপার , শুধু যে গ্যাসের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটছে তা নয়। বিদ্যুতের বিল, রেশন কার্ড ডিজিটাল করার নাম করে গ্রাহকদের ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এইসব প্রতারক চক্র। একেই সম্প্রতি গ্যাসের বুকিং, ডেলিভারি নিয়ে উদ্বেগে আছেন বহু মানুষ, তার উপরে নতুন করে এই উপদ্রব শুরু হওয়ায় সমস্যায় জেরবার শহরবাসী। আপনার মতামত জানান -