সরগরম গোটা রাজ্য! চাপের মুখে এই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন – সংবাদমাধ্যমকে হুমকি দেন নি! জাতীয় September 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতি সামাজিক বা যেকোন ঘটনাপ্রবাহে সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যমগুলি বিশেষ ভুমিকা নিয়ে থাকে। তবে সমালোচকদের মতে, কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমগুলির বর্তমানে নিরপেক্ষ না থেকে কোনো বিশেষ দিকে ঝুঁকে খবর করার প্রবণতা দেখা যায়। আবার অনেকক্ষেত্রে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় সংবাদমাধ্যমের ওপর নামে আসে প্রশাসনিক কোপ। সম্প্রতি এরকমই একটি খবরের সূত্র ধরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এবং প্রচারে উঠে এসেছে বিপ্লব কুমার দেবের সংবাদমাধ্যমকে হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগেই বিপ্লব কুমার দেব অভিযোগ করেন, ত্রিপুরার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলি ভুল প্রচার চালাচ্ছে। এবং এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে হুমকি দেওয়ার মতন কোনো কাজ তিনি করেননি বলেই জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অন্যদিকে, ত্রিপুরার সাংবাদিক মহলের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তাঁদের সরাসরি হুমকি দিয়েছেন। যে কারণে তাঁরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোন মিডিয়াকেই কোনো হুমকি দেননি বরং তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এমন সংবাদ তৈরি করছে, যাতে রাজ্যজুড়ে বিভ্রান্ত এবং আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। মানুষ হাসপাতালে আসতে ভয় পাচ্ছে। যার ফলে মৃত্যুও বাড়ছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণ রীতিমতো লাগামছাড়া হয়ে চলেছে দিন দিন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যত গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন লাইন নিয়ে শুরু হয়েছে অন্তর্ঘাতের গুরুতর অভিযোগ। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ত্রিপুরার স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। একইভাবে করোনা হাসপাতালের সুপারও পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এত রোগী আসছে, যে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এই অবস্থায় সোমবার থেকে আবার ত্রিপুরা বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, ত্রিপুরায় করোনা পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ে প্রচার মাধ্যম এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমজনতা কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ওপরেই সবক্ষেত্রে বিশ্বাস করে। তাই সংবাদমাধ্যমের খবর পরিবেশনের বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকা উচিত বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -