এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সরগরম এই ইস্যুতে এবার বিদ্বজনদের পাশে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী,সুর সপ্তমে কেন্দ্র বিরোধিতার

সরগরম এই ইস্যুতে এবার বিদ্বজনদের পাশে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী,সুর সপ্তমে কেন্দ্র বিরোধিতার


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, একাধিক রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এতদিন পর্যন্ত বিএসএফ সীমানা থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত গ্রেপ্তারি, তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করতে পারত। কিন্তু বেশকিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে সীমানা থেকে ৫০ কিমি ভেতর পর্যন্ত এই সমস্ত কাজ করতে পারবে বিএসএফ। এই রাজ্যগুলি হলো পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, পাঞ্জাব। বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এবার এই ইস্যুতে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের পাশে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রেসক্লাবে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করলেন বিদ্বজ্জনেরা। যাদের মধ্যে ছিলেন অপর্ণা সেন, সোহাগ সেন, কিরিটি রায় সহ বহু বিশিষ্টজন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী ও চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন জানালেন, মিলিটারিদের যতটা ক্ষমতা দেওয়ার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানালেন, ছিটমহলের বাসিন্দাদের খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হচ্ছে। তারা অনেকদিন ধরেই সীমান্তবাসীদের নিয়ে কাজ করছেন। সেখানে গিয়ে তারা দেখেছেন যে, কি কষ্টে দিন কাটছে। দিনহাটার করোলা টুতে ১১ টি পরিবার বাস করে। যাদের মোট জনসংখ্যা হল ৫০।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাইরে তাদের বিয়ে হয় না। নিজেদের মধ্যেই বিয়ে সম্পন্ন করতে হয়। এর ফলে ভয়ঙ্কর জেনেটিক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাদের। এই অবস্থায় বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি তাদের আরও সমস্যায় ফেলবে।
তিনি জানালেন, রাজ্য সরকারকে তিনি অনুরোধ করবেন, যারা সীমান্তে বসবাস করছেন সেই সমস্ত মানুষদের কথা যেন একটু বেশি করে ভাবা হয়। তারা যেন নিজেদের মতো করে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাষবাস করতে পারেন। সীমান্ত এলাকায় দুপুর দুটোর সময় স্কুল ছুটি হয়ে যায়। এরপর সীমানা খোলার জন্য বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত খালি পেটে বসে থাকে শিশুরা। এই কারণে এখানকার শিশুরা স্কুলে যেতে চায়না।

সমাজকর্মী কিরিটি রায় জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোনরকম আলোচনা ও মতামত ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের বিরোধী। অনেকদিন ধরেই সীমান্ত অঞ্চলের নাগরিকদের নিয়ে তার কাজ করছেন। প্রতিবছর সীমান্তে ১০০ থেকে ২০০ জন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যাদের ৮০% ই ভারতীয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ, বিএসএফ, কাস্টমস অফিসার সকলেই অবৈধ পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে খুন করা হচ্ছে। ২০০১ থেকে শুরু করে ২০১০ সালের মধ্যে সীমান্তে প্রতি বছর ১০০ জনকে মারা হত। ২০১১ সাল থেকে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০। যেসব মানুষ সীমান্ত অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন, সরকারের কোন পরিষেবা তাদের কাছে যায় না। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই, শৌচাগার নেই, শিক্ষা নেই, এই অবস্থায় বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি তাদের অবস্থা আরও খারাপ করবে।

এভাবেই বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রবল প্রতিবাদ জানালেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। ইতিপূর্বে ৩৭০ ধারা বিলোপ, সিএএ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা পাশে থেকেছেন শাসকদলের। নানা ইস্যুতে বারবার প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রের। এবারও তার ব্যতিক্রম দেখা গেল না।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!