এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সরকারী দপ্তর থেকে গোপন তথ্য ফাঁস! কতখানি হয়ে গেল ক্ষতি? ঘটনার পেছনে কে? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

সরকারী দপ্তর থেকে গোপন তথ্য ফাঁস! কতখানি হয়ে গেল ক্ষতি? ঘটনার পেছনে কে? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন সময়ে এর আগেও দেখা গেছে সরকারি তথ্য হঠাৎ করেই ফাঁস হয়ে গেছে। যে তথ্যগুলি অত্যন্ত গোপনীয় সেগুলি কিভাবে ফাঁস হচ্ছে তাই নিয়ে তদন্ত চললেও কিছুই ধরা পড়েনি। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও উত্তেজনা বেড়েছে। এদিন আবার প্রকাশ্যে এল তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা। সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন কম্পিউটারের গোপন তথ্য যাতে নিরাপদে থাকে, সে কারণে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার বলে একটি সংস্থা তৈরি করেছে এবং সেই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বিভিন্ন কম্পিউটার থেকে দেশের প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন ভিভিআইপি সংক্রান্ত গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে।

আর এই নিয়েই চিন্তা বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ ইতিমধ্যে দেশের সামনে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। এই অবস্থায় তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া মোটেই কাজের কথা নয় বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও আরো কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসারের গোপন তথ্য চুরি হয়েছে। প্রসঙ্গ সামনে আসতেই দিল্লি পুলিশ তড়িঘড়ি একটি এফআইআর করেছে। তদন্ত সূত্রে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার নাম।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টারের এক কর্মীর কাছে একটি ইমেইল আসে। সেই ইমেইল খুলতেই কম্পিউটারের সব তথ্য হ্যাকারের হাতে চলে যায়। ইতিমধ্যে ওই কর্মীকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগেও শোনা গেছে, চীনের অন্যতম সংস্থা ঝেনহুয়া ডাটা ইনফরমেশন হাজার হাজার ভারতবাসীর ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর নজর রেখে বসে আছে। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধানদের তথ্যও তাঁদের হাতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আরও একটি দল তৈরি করে তদন্তের জন্য। এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। কারণ চীনা রাষ্ট্রদূত এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনার কারণে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, চীন গোপনে ভারতের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে চীনকে ব্যাবসায়িক দিক থেকে কোণঠাসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই সূত্রে এম এস এন এল এবং বিএসএনএল 4g নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য চীনা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে না বলে জানিয়েছে।

আমেরিকার পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে, চিনা সংস্থাগুলি যে দেশে ব্যবসা করে সেখানে কড়া নজরদারি চালায় দেশের নাগরিকদের ওপর। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেল তাতে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর কথাই মনে হচ্ছে । আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, এই তথ্য যদি শত্রুদের হাতে চলে যায় তাহলে তার ফল হতে পারে মারাত্মক। এই অবস্থা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার বলে জানা গেছে। তবে কি কি তথ্য পাচার হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। আপাতত তদন্তের সূত্র ধরেই এই ঘটনার পেছনে কে তার খোঁজ চলছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!