পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি কর্মীদের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপের দাবিতে কর্মচারী পরিষদ বিশেষ খবর রাজ্য March 17, 2018 বেজে গেছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের দামামা, দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও – যে কোনোদিন তা ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। আর এই পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ত্বে যাঁরা থাকবেন সেইসব রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য এবার অভিনব ও যুগান্তকারী দাবিতে আন্দোলনের পথে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ। এই উপলক্ষে আজ বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তর ৬ মুরলীধর সেন লেনে এক বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে তারা। এই উপলক্ষে প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার তরফে সংগঠনের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যেকোনো নির্বাচনে লড়াই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে হলেও সেই নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ত্ব এসে বর্তায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপরেই এবং বিভিন্ন ঘটনায় আমরা দেখেছি এই সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের শারীরিক বা মানসিক ভাবে নিগৃহীত হতে হয়, অনেক সময় তাঁদের প্রাণও চলে যায় উক্ত কারণে। তাঁদের পরিবার হারায় তাঁদের প্রিয়জনকে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরুত্তাপ থাকে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখেছি। একদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার নিশ্চুপ, পেশ হচ্ছে না ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ। অন্যদিকে ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হতেই সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশের দিকে এগোচ্ছে। আর এখানে নির্বাচনী দায়িত্বও পালনে গিয়ে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। তাই এইসব বন্ধ করতে আমরা এবার উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এই সম্মেলন করছি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই হেনস্থা রাখার মত প্রশিক্ষণ রাজ্য পুলিশের নেই, তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আধা সামরিক বাহিনী প্রয়োজন। যদি নির্বাচন চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে কোনো সরকারি কর্মীর প্রাণ যায় তাহলে তাঁর পরিবার সর্বস্ব হারায়, তাই প্রত্যেকের জন্য ১০ লক্ষ টাকার জীবনবীমা করে দিতে হবে। এছাড়াও নিজেদের কাজের বাইরে নির্বাচনের এই অতিরিক্ত দায়িত্ত্ব পালনের আগে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ সহ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য দাবি দাওয়া মেনে নিতে হবে। এই নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই আমরা ওয়াই চ্যানেলে একটি ধর্ণা কর্মসূচি পালন করব, যার দিনক্ষণ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনার মতামত জানান -