এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাড়ছে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ, আজ উত্তরবঙ্গ কাঁপাতে আসরে শীর্ষনেতা

বাড়ছে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ, আজ উত্তরবঙ্গ কাঁপাতে আসরে শীর্ষনেতা


রাজ্য-রাজনীতিতে ক্রমশ প্রধান বিরোধী দলের পরিসর দখল করছে গেরুয়া শিবির। একদিকে যখন সিপিএম বা কংগ্রেস ছেড়ে শাসকদলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, অন্যদিকে তেমনই প্রবণতা বাড়ছে গেরুয়া পতাকা হাতে নেওয়ার। আর এর থেকে ব্যতিক্রমী নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরাও। ফলে ক্রমশ আকার ও আয়তনে বাড়ছে বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদ। আর এবার নিজেদের কাজের পরিধি আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে জেলা সফর শুরু করলেন পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল।

আজ, সুদূর উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতি হলে সরকারি কর্মচারী পরিষদের প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক দেবাশিস শীল, মাদারীহাটের বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা সহ একঝাঁক শীর্ষনেতা। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হতে চলা এই সম্মেলনে নতুন জেলা কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেখুন লোকের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায়, কিন্তু আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ‘কল্যানে’ সরকারি কর্মচারীদের পিঠ বর্তমানে দেওয়াল ফুঁড়ে ভেতরে ঢুকে গেছে। বকেয়া ডিএ বা কেন্দ্রীয়হারে বেতন না দেওয়া নিয়ে বঞ্চনা তো আছেই, তার সঙ্গেই শুরু হয়েছে এর প্রতিবাদ করলে ভয়ঙ্কর বদলি সন্ত্রাস। বিরোধী মনোভাবাপন্ন যে কোন সরকারি কর্মচারী রাজ্য সরকারের দুর্নীতি বা বঞ্চনা নিয়ে মুখ খুললেই তাঁকে এই বদলি সন্ত্রাসের বলি হতে হচ্ছে।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দেবাশিসবাবু আরো যোগ করেন, ফলে বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মানসিকভাবে ফুটন্ত আগ্নেয়গিরির উপর বসে আছেন। গুটিকয় সরকারি কর্মচারী যাঁরা শাসকদলের সঙ্গে থাকায় বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা বাদে প্রায় সকলেই ক্ষোভের আগুনে ফুটছেন। আর তাঁরা বুঝে গেছেন, রাজ্য সরকারের এই বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে হলে বা নিজস্ব পাওনা-গন্ডা বুঝে নিতে হলে আমাদের ছাতার তলায় আসা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় নেই।

দেবাশিসবাবুর যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘেউ ঘেউ’ কথার প্রতিবাদ হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে আদালতে গিয়ে মরিয়া লড়াই – পথ দেখাচ্ছি আমরাই। আর তাই গোটা রাজ্যজুড়েই শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে সরকারি কর্মচারীরা দলে-দলে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আর তাই কলকাতার গন্ডি পেরিয়ে উত্তরবঙ্গ দিয়ে আমাদের জেলা সম্মেলন শুরু করছি।

এর সঙ্গেই দেবাশিসবাবু দাবি করেন, আগামীদিনে, রাজ্যের অন্যান্য জেলায় তা আরো বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। আসলে ‘দিদিমনি’ বুঝতে পারছেন না, কিন্তু দিনের পর দিন এইভাবে সরকারি কর্মচারীদের উপর বঞ্চনা করার ফলে – এই বিপুল সংখ্যক মানুষের আস্থা তিনি হারিয়েছেন। ফলে আগামীদিনে অন্যান্য বিরোধী দলগুলি থেকে তো বটেই, খোদ তাঁর দল থেকেও যে পরিমান সরকারি কর্মচারী আমাদের পরিষদে যোগ দিতে চলেছেন তাঁর প্রভাব ও ফলাফল আগামী লোকসভা নির্বাচনেই তিনি চাক্ষুষ করতে পারবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!