এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সরকারি খাস জমি কেনাবেচার অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে !

সরকারি খাস জমি কেনাবেচার অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে !


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার শাসক শিবিরের আরও একটি নতুন দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গেল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই বিরোধী দলগুলি রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠেছে নদীর চর বিক্রি হয়ে যাওয়া নিয়ে। আর এই চর হল সরকারি জমি। প্রশ্ন উঠবে, সরকারি জমি কিভাবে বিক্রি করা যায়? না, সরকারি জমি সহজ রাস্তায় কখনওই বিক্রি করা যায়না ঠিকই। কিন্তু শাসকদলের পরিচয় নিয়ে অবশ্যই গায়ের জোরে বাঁকা পথে বিক্রি করা যায়। আর সেরকমই ঘটনার সাক্ষী এই মুহূর্তে ক্যানিং।

সেখানকার তৃণমূলের কিছু নেতা সরকারি জমি বা সরকারি হিসাবপত্রের কোন তোয়াক্কা না করেই মাতলার চরে বিঘের পর বিঘে জমি বিক্রি করে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। রীতিমতন বলে-কয়ে বেআইনি ভাবেই সরকারি জমি বিক্রির কারবার চালাচ্ছেন শাসক দলের কয়েকজন অনুগামী। বহুদিন ধরেই সুন্দরবনের অন্যতম নদী মাতলায় চর পড়তে শুরু করেছে। একসময় এই নদী অনেকখানি এলাকাজুড়ে থাকলেও বছরের পর বছর ক্যানিং এর দিকে মাতলা নদীর যে অংশটি রয়েছে সেখানে ব্যাপকভাবে চর পড়েছে। নদীর এমনই অবস্থা যে বর্তমানে ক্যানিং 1 ব্লকের মিঠাখালী, থুমকাঠি ও ক্যানিং 2 ব্লকের মৌখালী, হেদিয়ার মধ্যে নাব্যতা হারিয়ে মাতলা এখন ক্ষীণ ধারায় বইছে।

অন্যদিকে ক্যানিং 1 ব্লক এবং ক্যানিং 2 ব্লকের মধ্যে যোগাযোগের উন্নতির জন্য সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ একটি কংক্রিটের সেতু তৈরি করেছে। আর এই সেতুর সংযোগকারী রাস্তার দু’পাশে থাকা মাতলার চরের সরকারি জমি রাতের অন্ধকারে হাতবদল হয়ে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছে, এই ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের একাংশের যথেষ্ট মদত রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগের আঙুল উঠেছে এলাকার এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার কয়েকজন অনুগামীর বিরুদ্ধে। জমির খরিদ্দার পরিচয় নিয়ে তাঁদের একজনকে সংবাদমাধ্যম থেকে ফোন করা হলে তিনি মাতলার চরের জমির দাম আড়াই লক্ষ টাকা প্রতি বিঘা জানান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এসব জমির কোন কাগজপত্র নেই। শুধুমাত্র যোগাযোগ করা হলে জমি বিক্রি হবে। অন্যদিকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা জানিয়েছেন, মাতলার চরের জমি বিক্রির ব্যাপারটি তাঁর জানা নেই। তিনি জানিয়েছেন, যারা মাতলার চড়ে মাছের ভেরি করতেন তাঁরাই হয়তো জমি বিক্রি করছেন। তবে সেখানে যে অনেক জমির সরকারি পাট্টা রয়েছে, সে কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। আর সেখানেই প্রশ্ন সরকারি পাট্টা পাওয়া জমি কিভাবে বিক্রি করা যায়? এ প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক গৌতম কুমার সাঁতরা জানিয়েছেন, সরকারি পাট্টা পাওয়া জমি কোনমতেই বিক্রি করা যায়না। শুধুমাত্র উত্তরাধিকারসূত্রে তা হাতবদল হয়।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকারি পাট্টা জমি নয়, বছরের পর বছর মাতলার চর অধিগ্রহণ করে যেসব মাছের ভেরিগুলি ছিল এতদিন, সেগুলিই বিক্রি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ক্যানিং সেতুর কাছে চায়ের দোকানী কার্তিক গায়েনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, তাঁর দখলেও বেশ কয়েক বিঘা সরকারি জমি রয়েছে। এবং সেই জমি বিক্রি করতে তিনি তাঁর জমির প্রতি বিঘা সাড়ে তিন লক্ষ দর হাঁকালেন। মাসখানেক আগে ক্যানিং পশ্চিম এর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল অভিযোগ তুলেছিলেন, মাতলার চর বিক্রি হচ্ছে বলে। তিনি সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন, সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। 

অন্যদিকে ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক রবিপ্রকাশ মিনা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু তাঁর জানা নেই। স্থানীয়রা এই ঘটনায় যথেষ্টভাবে ক্ষুব্ধ বলে জানা যাচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি দলীয় ঝান্ডার তলায় দাঁড়িয়ে কিভাবে বিঘের পর বিঘে জমি বেআইনিভাবে হস্তান্তর হচ্ছে, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থাকছেই। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূল শিবিরের এহেন বেআইনি কাজের জন্য যথেষ্ট সমালোচনা হচ্ছে। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসে পড়ায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসক দল। তবে সরকারি সম্পত্তি যেভাবে নয়ছয় করছে এই রাজ্যের শাসক দল, তা জানার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!