এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সরকারী অনুদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে বেশ কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রী, এবার তথ্য জমা করার জরুরী নির্দেশ শিক্ষা দপ্তরের

সরকারী অনুদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে বেশ কিছু জেলার ছাত্র-ছাত্রী, এবার তথ্য জমা করার জরুরী নির্দেশ শিক্ষা দপ্তরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন কালে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কিংবা স্মার্ট ফোন দেওয়ার। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা করার প্রয়োজন সরকারের কাছে। সেই কাজেই থেকে গেছে খামতি। চলতি শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই ট্যাব পেয়ে গেছে। কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা প্রত্যেকে এই একই খাতে 10000 টাকা করে এবার অনুদান পাবে সরকারের কাছ থেকে। আর সেই কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে।

কিন্তু তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, প্রায় 3 লক্ষের মত ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখনো পর্যন্ত জমা পড়েনি সরকারের ঘরে। আর এই নিয়েই এবার শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ গিয়েছে প্রতিটি স্কুলের কাছে, চলতি মাসের 7 তারিখের মধ্যে সমস্ত তথ্য জমা করার জন্য। এই অতি জরুরী নির্দেশিকা শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সমস্ত স্কুলের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া শেষের পথে। জানা যাচ্ছে, মাদ্রাসা ছাড়া রাজ্যের 6407 টি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার অনুদান দেওয়া হবে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সর্বমোট 8 লক্ষ 14 হাজার 687। এরমধ্যে অন্তত দু’লক্ষ 94 হাজার 298 জন ছাত্র-ছাত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্য জমা পড়েনি স্কুলের কাছে।

যার মধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলার 33,000 পড়ুয়ার কথা বলা যায়। একইসাথে তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। সেখানেও প্রায় সাড়ে আট হাজার নথি জমা পড়েনি। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার অধিকাংশ স্কুলেই নথি জমা না করার তথ্য সামনে আসছে। সেক্ষেত্রে এই জেলাগুলি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা পিছনের স্থানে অবস্থান করবে বলে জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। তাই এবার দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান শিক্ষককে। আগেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। তখন কাজ কিছুটা হলেও অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এবার অতি জরুরী ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে শিক্ষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকার জন্যই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এত অসুবিধা হচ্ছে। অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার এন্ড হেডমিস্ট্রেস সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণীতে 15 জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি করা হবে বলে ইতিমধ্যেই নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস পাওয়া যেমন যাচ্ছেনা, ঠিক সেভাবেই শিক্ষকদের সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তবে সরকারের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের কাছে অনুদান পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু লকডাউন থাকাকালীন অসুবিধার মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি করলেও তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থাকছে। আপাতত অনুদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলি অতি জরুরী ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারির পরিপ্রেক্ষিতে কতটা এগিয়ে আসতে পারে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!