এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন অ্যাথলিটরা

সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন অ্যাথলিটরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একজন অ্যাথলিটের কাছে তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, তার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কারণ যে প্রতিভা নিয়ে বিশ্বের কাছে সে তার ভবিষ্যত গড়ে তুলবে, সেই প্রতিভাকে শান দেওয়ার জায়গা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তাই বিভিন্ন স্পোর্টস অথরিটির কাছে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে একেবারে সমস্ত অ্যাথলিটদের জন্য আদর্শ জায়গা করে তোলাই প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু ভারতবর্ষে যেখানে আদর্শ প্রশিক্ষণকেন্দ্রেরই অভাব রয়েছে, সেখানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে পরিকাঠামোগত ভাবে সুন্দর করে তুলতে তাই বেশ বেগ পেতে হবে এটা ধরেই নেওয়াই যায়। আর এমনই একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে সম্প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খোদ অ্যাথলিটরাই।

ঘটনাটি ঘটেছে, পাটিয়ালার নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পোর্টস সেন্টারে। নামে যদিও এটি এশিয়ার বৃহত্তম ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এছাড়া এখানে দেশের সবচেয়ে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে বলেই SAI-এর দাবি। অথচ, সেই এখানেই খাবারের খারাপ মান নিয়ে মুখ খুলতে হচ্ছে অ্যাথলিটদের। শুধু খাবারের মান খারাপই নয়, টা যে রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর সেই অভিযোগই শোনা গেছে। তবে সেই অভিযোগ করেছেন আর কেউ নন, দেশের প্রথম সারির প্রতিভাবান স্প্রিন্টার হিমা দাস। তবে অন্যান্য অ্যাথলিটরাও এই একই কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু দিন আগে নাকি হিমা দাসের খাবারে মানুষের নখ পাওয়া গিয়েছিল। যার ছবি তুলে তিনি ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন বলে জানান তিনি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি দেখে, তিনি অভিযোগ জানান ক্রীড়ামন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে। এই বিষয়টিকে তিনি দ্রুত স্পোর্টস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ SAI কর্তাদের জানান এবং দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বলেই জানা গেছে। তবে ক্রীড়ামন্ত্রীর নির্দেশ মতো সাই কর্তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আর তাই একটি খাদ্য পরিদর্শন কমিটি তৈরি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছিল।

তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই পাটিয়ালার নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্পোর্টস সেন্টারটিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দিন কয়েক আগেই এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে করোনা বিধি ভাঙার অভিযোগ সামনে এসেছিল। এছাড়া এখানে থাকাকালীনই কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙারও খবর আসে অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়া দুই বক্সারের বিরুদ্ধে। তবে এবার সেখানেই আবার নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ দিন দিন উত্তেজনা যে বাড়িয়ে দিচ্ছে, সেটা বলাই বাহুল্য। অ্যাথলিটদের কথায় এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যান্টিন থেকে শুরু করে রান্নাঘর পর্যন্ত পুরোটাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মোড়া। আর তার সঙ্গে এরা যে মানের খাবার দিচ্ছে তাতে আর যাই হোক, আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট কখনোই জেতা যাবে না। তাই এদের যদি সত্যিই ইচ্ছে থাকে বিশ্বে নিজেদের দেশের নাম উজ্জ্বল করার, তাহলে এখনই সময় এসে গেছে বদলের। নাহলে ভবিষ্যতে এর ফল ভুগতে হবে প্রত্যেককে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!