এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সরকারি সাহায্য না পেলে এবার কি বন্ধই হয়ে যাবে ভোডাফোনের পরিষেবা? জল্পনা বাড়ালেন খোদ মালিক!

সরকারি সাহায্য না পেলে এবার কি বন্ধই হয়ে যাবে ভোডাফোনের পরিষেবা? জল্পনা বাড়ালেন খোদ মালিক!


লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি মাথায় হাত পড়েছিল দেশের তাবড় টেলিকম সংস্থাগুলির ওপর। ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছিল যে বাজারে গুজব রটেছিল ভোডাফোন তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে চলেছে। তবে সাময়িকভাবে এই আশঙ্কাকে অস্বীকার করে ভোডাফোন এবং এয়ারটেল। তাঁরা তাঁদের গ্রাহক পরিষেবার চার্জ বাড়ানোয় ধরে নেওয়া হয়, ক্ষতির মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই তাদের নতুন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এটি। কিন্তু তা সত্বেও এবার ভোডাফোন এবং আইডিয়া সেলুলার এর মালিক বিড়লা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সরকারি ত্রাণ না পেলে ভারতবর্ষ থেকে সত্যি সত্যি বিদায় নেবে ভোডাফোন আইডিয়া।

শুক্রবার ভোডাফোন আইডিয়ার চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, সরকারি সাহায্য না পেলে তৃতীয় বৃহত্তম মোবাইল সার্ভিস পরিষেবা দেওয়া সংস্থা ভোডাফোন আইডিয়া চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে বিপুল করের বোঝা কম্পানির ঘাড়ে চেপেছে, অর্থাৎ 53.38 কোটি টাকা – সেই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা এই মুহূর্তে ভোডাফোন আইডিয়ার নেই। এদিন এক অনুষ্ঠানে কুমারমঙ্গলম বিড়লা জানিয়ে দিলেন, “যদি আমরা কোন কিছু না পাই, তাহলে ভাবতে হবে ভোডাফোন আইডিয়া বন্ধ করার কথা।”

টেলিকম সেক্টরে রিলায়েন্স জিও পা দেওয়ার সাথে সাথে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয় গ্রাহকমহলে। জিও পরিষেবা পাওয়ার জন্য অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংস্থার কানেকশন ছেড়ে দেয় অনেকে। সেই সময় জিওকে টক্কর দিতে মিলাদের আইডিয়া সেলুলার এবং ব্রিটিশ টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় ইউনিটটি চালু করেছিল। কিন্তু তারপরেও সংস্থাটির ঘাড়ে চাপে 1.17 লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঋণের বোঝা আরও বেড়ে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন বিড়লা পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোডাফোন আইডিয়ার পেছনে আর বিন্দুমাত্র টাকা ঢালা হবে না। পরিষ্কার করে তিনি বলে দেন, ক্ষতিগ্রস্থ সংস্থার পেছনে টাকা ঢালার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারতী এয়ারটেল ভোডাফোন আইডিয়া এবং অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির কাছ থেকে 14 বছর আগের টেলিকম লাইসেন্স স্পেকট্রাম ফি বাবদ পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় 41 লক্ষ কোটি টাকা। এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর বিবেচনা করে তাঁদের সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিল সরকারের কাছে।

গত 6 বছরে দেশে সর্বনিম্ন জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে 4.5 শতাংশ। এবছর বিড়লা আশা করেছিলেন টেলিকম ক্ষেত্রে সরকারের সাহায্য আসতে পারে। কারণ টেলিকম ক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি যে ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল সেখানে সরকারী সাহায্য আসা উচিত বলে মনে করছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে দু’বছরের সময়সীমা দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। এবং সেই সূত্র ধরেই ভোডাফোন আইডিয়া ক্রমশ ভারত বর্ষ থেকে ব্যবসা গোটানোর দিকে যেতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি টেলিকম কোম্পানিগুলি প্রত্যেকেই গ্রাহক পরিষেবা চার্জ বৃদ্ধি করেছে। যা নিয়ে টেলিকম সেক্টরে সমালোচনাও প্রচুর হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও টেলিকম বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে যে বিপুল করের বোঝা চেপেছে দেশের প্রতিটি টেলিকম সংস্থার ঘাড়ে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে গ্রাহক পরিষেবা অতিরিক্ত মাশুল না বাড়িয়ে কোন উপায় ছিলোনা টেলিকম সেক্টর গুলির কাছে। আপাতত ভোডাফোন আইডিয়া টেলিকম কোম্পানি প্রবলভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টেলিকম বাজারে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে ভোডাফোন আইডিয়ার ওপর যে বিপুল করের বোঝা চেপেছে, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে কি ভোডাফোন আইডিয়া মার্কেটিং স্ট্রাটেজি বদল করে ঘুরে দাঁড়াবে নাকি চিরতরে ভারতবর্ষ থেকে বিদায় নেবে সে দিকেই নজর রাখছে দেশের তাবড় টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!