এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী সুনিশ্চিত করে দিলেন সারদা বা নারদা কান্ডে কোনো রেহাই মিলবে না

উত্তরবঙ্গের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী সুনিশ্চিত করে দিলেন সারদা বা নারদা কান্ডে কোনো রেহাই মিলবে না

সম্প্রতি কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার পর আশ্চর্যজনক ভাবে সেই পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেট্রো চ্যানেলের ধরণা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এমনকি এই ঘটনায় কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতও চরম মাত্রায় পৌঁছয়।

আর্থিক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের জন্য যদি কোনো পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে কেন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধরনা দিচ্ছেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই উঠতে শুরু করে নানা প্রশ্ন। আর এরই মাঝে এবার শুক্রবার ময়নাগুড়ি চুড়াভান্ডারে সেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না নিয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে দেখবার জন্য এদিনের সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জানা যায়, ঘড়ির কাটায় তখন 3:40 মিনিট। প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার চুড়াভান্ডারে পৌঁছতে না পৌঁছতেই উৎসাহী জনতার অনাবিল আনন্দ চোখে পড়ে। আর এরপরই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সরকারি মঞ্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন এবং সলসলাবাড়ি ফোর লেনের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

আর এরপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সিবিআই হানার পর পুলিশ কর্তা রাজিব কুমারের সমর্থনে মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী আছেন যিনি গরিব মানুষের পয়সা যারা লুট করেছে, তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। মমতা দিদির কাছে জানতে চাই যে চিটফান্ডের তদন্তে আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন?”

পাশাপাশি এই সভা থেকেই ফের নিজেকে চৌকিদার বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লুটেরা এবং মদদদাতাদের রেহাই দেবে না চৌকিদার। পাই পাই হিসাব বুঝে নেওয়া হবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এদিনের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার চিটফান্ড কাণ্ডে এবার সঠিক পথে তদন্ত করেই এগোবে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। আর তাইতো রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনাকে নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পৌরসভায় রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে বলেও এদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কদিন আগেই ঠাকুরনগরের সভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ত্রিপল টির তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন উত্তরবঙ্গের জনসভা থেকে ফের সেই ত্রিপল টির তত্বকেই সামনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের তিনটি টি- টিম্বার টি এবং ট্যুরিজমকে এই দিদি শেষ করে দিয়েছে। মানুষ কমিউনিস্ট সরকারকে সরিয়ে তৃণমূলকে এনেছিল। কিন্তু তারা আরও ভয়ংকর। এখন দিদির মন দিল্লিতে পড়ে আছে। আর রাজ্যের মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ।”

রাজ্যে রথযাত্রা বন্ধ হলেও আগামী 2019 র নির্বাচনে জিতে এসে সারাদেশ ব্যাপী রথযাত্রার করা হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।আর সব শেষে এদিনের সভা থেকে রাজ্যের অব্যবস্থা নিয়ে সাধারন মানুষকে প্রশ্নের ঢঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই রাজ্যের সিন্ডিকেট থেকে আপনারা মুক্ত হতে চান কিনা? রাজ্যের হিংসা খুন-খারাবি থেকে মুক্ত হতে চান কিনা? তাহলে আপনাদের একটি ভোট খুবই মূল্যবান।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন এই বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি ঠিক তখনই উত্তরবঙ্গে সরকারি সভায় এসে সেইসভা মঞ্চ থেকেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়ে রাজ্যে গেরুয়া ঝড় তোলার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!