এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে জমজমাট রাজ্য রাজনীতি – মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে গিয়ে বিস্ফোরক মুকুল রায়

সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে জমজমাট রাজ্য রাজনীতি – মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে গিয়ে বিস্ফোরক মুকুল রায়

জমজমাট ২০১৯ এর ভোটার যুদ্ধ। রাজ্যের বর্তমান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপির ভিতের ময়দানে একে অপরকে দোষারোপ পর্বে জমে উঠেছে ভোটার প্রচার। আর সেখানেই ফের জোরালোভাবে ফিরে এল সারদা কেলেঙ্কারি।

এদিন কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর তার পাল্টা দিতে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারদা প্রসঙ্গ তুলে আনেন আবার তার পাল্টা দিতে গিয়ে মুকুল রায় আবার মুখ খোলেন। যা নিয়ে নতুন চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

সেদিন কোচবিহারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করতে গিয়ে টেনে আনেন নারদা, সারদা, রোজভ্যালি দুর্নীতি প্রসঙ্গ। নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ”রোজ বললেই এখানকার মানুষের কাঁটার কথা মনে পড়ে। নারদমুনি ত্রিলোকে ঘুরে বেড়াতেন। আর এখানে নারদ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। নারদা, সারদা, রোজভ্যালি দুর্নীতিতে আপনার আজীবনের সঞ্চয় লুঠে নিয়েছে। কার সিন্দুকে গিয়েছে? গরিবদের যাঁরা লুঠেছেন, তাঁদের কাছ থেকে হিসেব নেবে চৌকিদার। আপনাদের হিতের জন্য, দেশবাসীকে রক্ষার জন্য তটস্থ রয়েছে চৌকিদার”।

আর এই আক্রমণের পাল্টা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে মুকুল রায়ের দিকে আঙ্গুল তোলেন। ময়নাগুড়ির সভায় নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মুকুল রায়ের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলেন যে, ”আজকেও দাঁড়িয়ে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নাকি সারদা-নারদার পার্টি। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছেন। ২০১৬ সালে একই কথা বলেছেন। যে লোকটা আপনার সামনে বসে সভা নিয়ন্ত্রণ করছে, সে-ই তো সারদা-নারদার সবচেয়ে বড় অভিযুক্ত।সারদা-নারদার দুটি অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। তাকে পাশে নিয়ে সভা করছেন। এমনকি হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। হাওয়ালা কেলেঙ্কারির নায়ককে নিয়ে মিটিং করছেন”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মুকুল রায় রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বোমা ফাটান। মুকুল রায় দাবি করেন যে, ‘মমতার সৌজন্যে দুবার সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সুদীপ্তকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না তিনি।’
সাথেই নিজের প্রাক্তন নেত্রীকে নিশানা করে বলেন যে ,” ওনার সত্ সাহস নেই। তাই আমার নাম উচ্চারণ করতে পারছেন না। নাম উচ্চারণ করলে আইনি লড়াই করতাম।”

সাথে তিনি ও দাবি করেন যে, সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতেই তিনি প্রথম সুদীপ্ত সেনকে দেখেন । সুদীপ্ত সেনকে আগে কখনো দেখেননি আর চেনেনও না। মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতেই   ডেলোয় প্রথমবার সুদীপ্ত সেনকে দেখেন তিনি।সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দুবার সাক্ষাত্ করেছেন তিনি একবার ডেলোয়। একবার কলকাতার নিজাম প্যালেস।

সাতেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মুকুল রায় চ্যালেঞ্জ ছোড়েন যে তাঁকে সারদার কোনও ঘটনায় যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে তবে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন। কিন্তু প্রমাণ করতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রী কি তা করতে পারবেন।?

এদিন পুরোনো প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুকুল বাবু। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার আগে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করেছিল সিট।এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন যে ,” সিটের তদন্ত দেখাশোনা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে থাকলে কেন সেই সময় আমাকে ডাকলেন না? উনি তো তখন পুলিসমন্ত্রীও ছিলেন। ”

আর সাথেই বিস্ফোরক দাবি করে বলেন যে, ,”মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চ্যানেল-খবরের কাগজ এনেছিল সারদা। এসব উল্টোপাল্টা খরচের জন্য সারদা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। হেরে যাবেন বলে মাথায় আর কিছু থাকছে না। হারার ভয়ে উল্টোপাল্টা বলছেন”।

আর এই নিয়েই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কেননা সারদা , নারদ কেলেঙ্কারিতে অনেক মানুষের সারা জীবনের সঞ্চয় চলে গেছে। শুধু তাই নয়, গেছে অনেক প্রাণ। ফলে এই নিয়ে মুখ খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষী করে মুকুল রায় কি আদতে মুখ্যমন্ত্রীর ইমেজ খারাপ করলেন এই নিয়েই বিশ্লেষণে তরাজনৈতিকমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!